ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

কোহলি বললেন ‘পিচ তো ভালোই’, যুবরাজের খোঁচা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১
কোহলি বললেন ‘পিচ তো ভালোই’, যুবরাজের খোঁচা অক্ষর প্যাটেলের সঙ্গে কোহলি/ছবি: সংগৃহীত

ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার দিনরাতের টেস্ট মাত্র দেড় দিনে শেষ হয়ে যাওয়ার পর মোতেরার পিচ নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। মার্ক ওয়াহ, মাইকেল ভন, অ্যালিস্টার কুকদের মতো সাবেকরা বলছেন, এই পিচ টেস্টের উপযোগী নয়।

আবার সুনীল গাভাস্কার ও গ্রায়েম সোয়ানরা বলছেন, দোষটা ব্যাটসম্যানদেরই।  

বিতর্ক আরও একটু উস্কে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। ভারতীয় অধিনায়কের দাবি, মোতেরার নরেন্দ্র মোদী ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ নাকি বেশ ভালোই। তার মতে, দুই দলের ব্যাটসম্যানরা ঠিকঠাক খেলতে পারেনি বলেই এই অবস্থা। তিনি বলেন, ‘পিচ তো বেশ ভালোই ছিল। বিশেষ করে প্রথম ইনিংসে বল ভালোইভাবেই ব্যাটে আসছিল। দুই-একটা বল ঘুরছিল। ব্যাটিং ভালো হয়নি বলা যায়। দুই দলের ক্ষেত্রেই এটা সত্য। আর আমাদের বোলাররা দারুণ বল করেছে। ফলে ভালো ফল পেয়েছি। '

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই দিনে পড়েছে ৩০ উইকেট। এর মধ্যে ২৮টিই পেয়েছেন স্পিনাররা। দুই দলের পেসারদের ফিল্ডিং ছাড়া তেমন কিছুই করতে হয়নি। স্পিন স্বর্গে তাই দুই দিনের মধ্যেই ম্যাচ শেষ। যা আবার ক্রিকেট ইতিহাসের সপ্তম এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে ক্ষণস্থায়ী টেস্ট ম্যাচ। দুই দল মিলে খেলেছে মাত্র ৮৪২ বল। ১৯৩৫ সালের পর এটাই সবচেয়ে কম দৈর্ঘ্যের টেস্ট। (৮৬ বছর আগে ব্রিজটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড ম্যাচটি শেষ হয়েছিল ৬৭২ বলে। )

অবস্থা দেখে সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন তো এই পিচকে ‘ভয়ঙ্কর’ এবং ‘পুরোপুরি লটারি’ বলে বসলেন। তার মতে এটা ৫ দিনের টেস্ট ম্যাচের উপযোগীই নয়। তিনি বলেন, ‘আকর্ষণীয় ক্রিকেট…কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটের জন্য এটা অত্যন্ত খারাপ পিচ। দ্বিতীয় দিনে ব্যাপারটা পুরো লটারি হয়ে গিয়েছিল। ’ তার উত্তরসূরি স্যার অ্যালিস্টার কুকের মতে, এই পিচে ব্যাট করা ‘একেবারেই অসম্ভব’।  

তবে যুবরাজ সিং পিচ নিয়ে কিছুটা ঘুরিয়ে খোঁচা দিয়েছেন। ভারতের বিশ্বকাপজয়ী এই অলরাউন্ডার টুইটারে বলেন, ‘দুই দিনে খেলা শেষ হয়ে গেল! জানি না, এটা টেস্ট ক্রিকেটের জন্য ভালো বিজ্ঞাপন কি না। এই ধরনের উইকেটে যদি অনিল কুম্বলে আর হরভজন সিং বল করতো, তা হলে ওদের কত উইকেট হতো? হাজার আর ৮০০? যাই হোক, অভিনন্দন অক্ষর। কী দারুণ স্পেল। অভিনন্দন অশ্বিন। '

অন্যদিকে কোহলির মতের সঙ্গে মতের মিল আছে গাভাস্কারের। সাবেক এই ভারতীয় অধিনায়ক বলেন, ‘ব্যাটসম্যানরা বলের কাছে পৌঁছাতে পারছে না। যদি ফ্রন্ট ফুটে খেলা যায়, তা হলে বল প্যাডে লাগলেও আম্পায়াররা এলবিডব্লিউ দিতে দ্বিধা করবে। কিন্তু এখানে ব্যাটসম্যানরা সেটা করছে না। ’

গাভাস্কারের সঙ্গে একমত সাবেক ইংলিশ স্পিনার গ্রায়েম সোয়ানও। তিনি বলেন, ‘স্পিনের বিপক্ষে সে রকম ব্যাটিং দক্ষতা দেখা যাচ্ছে না। মাইকেল ক্লার্ক বা মাইকেল হাসির মতো ব্যাটসম্যানদের ফুটওয়ার্ক অত্যন্ত ক্ষিপ্র ছিল। সামনের পায়ে খেললে স্পিনটাকে নির্বিষ করে দেওয়া যায়। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।