ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রথম ব্রেক ওয়াটার মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরে

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
প্রথম ব্রেক ওয়াটার মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরে

মাতারবাড়ী থেকে ফিরে: উত্তাল সাগরের মধ্যেই বিশাল এলাকাজুড়ে শান্ত, স্থির নীল জলরাশি। এতটা নীল ও স্বচ্ছ পানি, যা সহজেই নজরে আসে।

দুই পাশে কৃত্রিম বাঁধ দিয়ে তৈরি এ জলরাশিই ‘ব্রেক ওয়াটার’। যা ঢেউ প্রতিরোধ করে জাহাজ থেকে জেটিতে পণ্য বা কনটেইনার লোড-আনলোডে সহায়তা করে এবং পলি ঠেকিয়ে জাহাজ চলাচলের চ্যানেল ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
     

দেশের প্রথম ‘ব্রেক ওয়াটার’ তৈরি হয়েছে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর এলাকায়। সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে পাথরের ব্লক ফেলে তৈরি করা হয়েছে এটি। চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বে টার্মিনাল প্রকল্পেও অনুরূপ ব্রেক ওয়াটার তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।  

মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক (বন্দর অংশ) মীর জাহিদ হাসান জানিয়েছেন, মাতারবাড়ীতে ৩৫০ মিটার চওড়া এবং ১৬ মিটার ড্রাফটের (গভীরতা) ১৪ দশমিক ৩ কিলোমিটার লম্বা অ্যাপ্রোচ চ্যানেল থাকবে। এ লক্ষ্যে চ্যানেলের উত্তর দিকে ২ হাজার ১৫০ মিটার এবং দক্ষিণে ৬৭০ মিটার লম্বা ব্রেক ওয়াটার (ঢেউ নিরোধক বাঁধ) তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে উত্তর দিকের ব্রেক ওয়াটারের বাঁধের ৩৯৭ মিটার মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে তৈরি হয়েছে।  

মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরে রুবেল মাউন্ড ব্রেক ওয়াটার তৈরি হয়েছে জানিয়ে বন্দরের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, সাগরে বন্দর কেন্দ্রিক ব্রেক ওয়াটার মাতারবাড়ীতেই প্রথম হয়েছে। মূলত জেটি এলাকায় উত্তাল ঢেউ প্রতিরোধ করে জলরাশি শান্ত, স্থির রাখা, পলি জমে চ্যানেল ভরাট হওয়ার ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে ব্রেক ওয়াটার তৈরি করা হয়েছে। সাগরের উত্তাল ঢেউ যদি জেটিতে থাকা জাহাজকে ধাক্কা দেয় তবে জেটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, লোড-আনলোডের গতি কমে যাবে।  

তিনি জানান, বায়ু প্রবাহের কারণে সন্দ্বীপের দিক থেকে আসা ঢেউ প্রতিরোধে পূর্ব-পশ্চিমমুখী বাঁধ এবং কুতুবদিয়া-টেকনাফের দিক থেকে আসা ঢেউ প্রতিরোধে উত্তর-দক্ষিণমুখী বাঁধ দেওয়া হয়েছে।  

ইতিমধ্যে ব্রেক ওয়াটার সুবিধা নিয়ে মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দর এলাকায় মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের পণ্যসামগ্রী নিয়ে আসা ১১২টি জাহাজ হ্যান্ডলিং করা হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে। এসব জাহাজকে পাইলটেজ সেবা, টাগবোট সাপোর্ট, রেডিও কনট্রোল ও ভিটিএমআইএস, আইএসপিএস, স্টিভিডোরিং সেবা দিয়েছে বন্দর। এসব জাহাজে পণ্য হ্যান্ডলিং হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩৭ হাজার টন, রাজস্ব আয় হয়েছে ৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২২
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।