ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চেতনা বাস্তবায়নে সম্মুখে থাকতে হবে পেশাজীবীদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩
চেতনা বাস্তবায়নে সম্মুখে থাকতে হবে পেশাজীবীদের

চট্টগ্রাম: একুশের চেতনায় সমাজ এবং দেশকে গড়ে তোলা গেলে সত্যিকার অর্থে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন একুশে পদক প্রাপ্ত দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক।  

তিনি বলেন, একটি বই একজন বন্ধুর সমান।

একটি ভালো বই একটি লাইব্রেরি।  

তিনি আরও বলেন, একুশের প্রথম কবিতা 'কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি'- এই কবিতাটি চট্টগ্রাম থেকেই কবি মাহবুবুল আলম চৌধুরী লেখেন এবং তা কোহিনূর প্রেস থেকে ছাপিয়ে লালদিঘি ময়দানে পাঠ করা হয়।

চট্টগ্রাম দেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে এগিয়ে।

তিনি ছেলে-মেয়েদের নিজের শেখর বাংলার ভীত শক্ত করার আহ্বান জানান।

এম এ মালেক নিজের একুশে পদক প্রাপ্তির বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, জীবনের প্রান্ত সীমায় জাতীয় পতাকা আচ্ছাদন করে বিদায় দেওয়া হবে -এটি আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মান। ‌' 

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বই মেলায় পেশাজীবীদের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

'একুশের চেতনায় পেশাজীবীদের ভূমিকা' শীর্ষক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম  সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি ) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক, আইইবির সাধারণ সম্পাদক এস এম শহীদুল আলম, চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবেশবিদ ও কলামিস্ট প্রফেসর মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের ট্রেজারার অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দীন চৌধুরী, নারী নেত্রী অ্যাডভোকেট রেহেনা বেগম রানু, আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ হাসান।  

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বইমেলা পরিষদের আহ্বায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু।

সমাবেশে ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন চসিক কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আজাদীর প্রধান প্রতিবেদক হাসান আকবর, শিক্ষক প্রাবন্ধিক ড. শামসুদ্দীন শিশির, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, অধ্যাপক শিবপ্রসাদ, সাবেক ছাত্র নেতা হাবিবুর রহমান তারেক, সংগঠক আসিফ ইকবাল প্রমুখ।  

সমাবেশ সঞ্চালনা করেন শিল্পী ও সংগঠক শাহাবুদ্দিন মজুমদার। পেশাজীবী সমাবেশের আলোচনা শেষে মনোমুগ্ধ দেশাত্মবোধক গান, নৃত্যসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।  

প্রধান বক্তার বক্তব্যে পেশাজীবী ও নাগরিক সংগঠক সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী সমাবেশ থেকে ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেককে মরণোত্তর একুশে অথবা স্বাধীনতা পদক প্রদানের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘একুশের প্রথম কবিতা ছাপানোর জন্য দৈনিক আজাদী পত্রিকার তৎকালীন ম্যানেজার দবির উদ্দিনকে জেলে যেতে হয়। সে সময় আজাদী পত্রিকার প্রকাশক ও কোহিনুর প্রেসের মালিক ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক নিজের গাটের টাকা খরচ করে, জীবন ঝুঁকি নিয়ে একুশের সেই অমর কবিতাটি প্রকাশ করেন। অথচ আজও তার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি মেলেনি। '

সমাবেশ থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতাদের শুভেচ্ছা জানান পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।  

সভাপতির বক্তব্যে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি প্রফেসর ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, শিশুদের হাতে মোবাইন নয়। তাদের হাতে বই খাতা তুলে দিতে হবে। তিনি শিশুদের মোবাইল থেকে দূরে রাখার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।