ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দুর্নীতির মামলায় তিন সার্ভেয়ার কারাগারে 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩
দুর্নীতির মামলায় তিন সার্ভেয়ার কারাগারে 

চট্টগ্রাম: দুর্নীতির মামলায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এলএ শাখার তিন সার্ভেয়ার কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।  

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালতে এই আদেশ দেন।

 

কারাগারে পাঠানো তিন সার্ভেয়ার হলেন, কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার মুরাদনগর এলাকার মৃত হাজী মো. খোরশেদ আলমের ছেলে মো.মজিবর রহমান (৪০), নোয়াখালী জেলার নোয়াখালী সদর থানার সাহতাপুর এলাকার মৃত আবদুল মান্না ভূঁইয়ার মো.আমানাতুল মাওলা (৩৬) ও পটিয়া থানার ধলঘাট এলাকার বাবু বিশ্বেশ্বর চৌধুরীর ছেলে আশীষ চৌধুরী (৫০)। এর মধ্যে মো.মজিবর রহমান ও মো. আমানাতুল মাওলা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এলএ শাখায় কর্মরত ছিলেন।

আশীষ চৌধুরী প্রেষনে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মরত ছিলেন।  

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদুল হক মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এলএ শাখায় দুর্নীতির মামলায় তিন সার্ভেয়ার হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছিলেন। হাইকোর্ট ৪ সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করা নির্দেশ দেন। সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনািনি শেষে জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতারনামূলকভাবে ও সরকারি ক্ষমতা ব্যবহার করে চট্টগ্রাম ভূমি অধিগ্রহন শাখার এলএ শাখায় উত্তর পতেঙ্গা মৌজার ভূমির মালিকানার রেকর্ডপত্র তৈরি করে ভূমির ক্ষতিপূরণ বাবদ এক কোটি ১৩ লাখ ১৪ হাজার ২৭৩ টাকা মিজানুর রহমান মাসুদ নামে এক ব্যক্তিকে প্রদান করেন। এ ঘটনায় নগরের কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নম্বর-২.১.২০১৯। ২০২২ সালের ৩১ জুলাই মামলার তদন্তকারী দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মামলার ফাইনাল রিপোর্ট দেন। এতে আসামিদের অব্যাহতির আবেদন করা হয়। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলার নথি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়। আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তার রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে আসামির বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ দণ্ডবিধিসহ ১৯৪৭ সালে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারাতে অভিযোগ গঠন করেন। ২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত বেঞ্চের জামিন আবেদন করলে আসামিদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২ 
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।