ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে হয়ে গেল চলচ্চিত্র ‘গুলবাহার’ এর প্রিমিয়ার শো

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
চট্টগ্রামে হয়ে গেল চলচ্চিত্র ‘গুলবাহার’ এর প্রিমিয়ার শো

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে আঞ্চলিক গানের রচয়িতা আবদুল গফুর হালী রচিত ‘গুলবাহার’ নাটকের ওপর নির্মিত চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়েছে।  
শুক্রবার (১২ মে) সন্ধ্যায় আলিয়ঁস ফ্রসেজ মিলনায়তনে এ প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়।

চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন পংকজ চৌধুরী রনি

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৬ সালে আবদুল গফুর হালীর প্রয়াণের পর আবদুল গফুর হালী রিসার্চ সেন্টারের প্রযোজনায় ও পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হকের পৃষ্ঠপোষকতায় আঞ্চলিক নাটক ‘গুলবাহার’কে চলচ্চিত্রে রূপদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। চলচ্চিত্র নির্মাণে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন আবদুল গফুর হালী রিসার্চ সেন্টারের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন।

 

‘গুলবাহার’ চলচ্চিত্রের চিত্রায়ন করা হয় সাতকানিয়ার বাজালিয়ায়, শঙ্খ নদী ও আশেপাশের লোকালয়ে। এই চলচ্চিত্রের কাহিনী মূলত নদীতীরবর্তী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনচিত্র নিয়ে রচিত। সাম্পানমাঝি সোনা মিয়া ও শঙ্খ-কন্যা গুলবাহারের নিটোল প্রেম, গ্রাম্য মোড়লের শঠতা এবং সর্বোপরি সত্যের জয়। এতে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান, সত্যজিৎ ঘোষ, শেখ দীনা, আকবর রেজা, ইমরান রহমান, মোহাম্মদ সাইফুল, ঊমেসিং মারমা। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন শিল্পী সন্দীপন দাশ, নাবিলা, মহসিন ও নিপা। সংগীত পরিচালনায় কনক রাজভর।

আবদুল গফুর হালী রিসার্চ সেন্টারের সেক্রেটারি সাংবাদিক নাসির উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘সত্তরের দশকের শেষদিকে কক্সবাজারে ‘গুলবাহার’ মঞ্চস্থ হয়েছিল। নাটকে নায়িকা অঞ্জু ঘোষ একটি কলাগাছ ধরে কেঁদেছিলেন। দর্শকদের কাড়াকাড়ির কারণে সেই কলাগাছ নিলামে উঠেছিল, বিক্রি হয়েছিল ১০০ টাকায়। তখন এমনই ছিল চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নাটকের জনপ্রিয়তা। ’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক সুবীর মাহজন বলেন, ‘আমি মনে করি, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সত্য সাহা-সঞ্জিত আচার্য্য জুটির ‘সাল্ফক্সানওয়ালা’র পর গফুর হালীর ‘গুলবাহার’ হবে নতুন মাইলফলক। ’

প্রসঙ্গত, আবদুল গফুর হালী ১৯৭৪ সালে রচনা করেন ‘গুলবাহার’। ১৯৭৬ সালের ২৮-৩০ অক্টোবর তিন দিনব্যাপী নাটকটি মঞ্চস্থ হয় চট্টগ্রাম মুসলিম হলে। নাটকে অভিনয় করেন ‘বেদের মেয়ে জোছনা’-খ্যাত অঞ্জু ঘোষ ও পংকজ বৈদ্য সুজন। এই গীতিনাট্যে প্রায় দুই ডজন গান ছিল, গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন কালজয়ী শিল্পী শেফালী ঘোষ ও শ্যামুসন্দর বৈষষ্ণবসহ চট্টগ্রামের তখনকার খ্যাতিমান শিল্পীরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
এমআর/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।