ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাঁশখালীর এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৭ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৩
বাঁশখালীর এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে

চট্টগ্রাম: দেশের অন্যতম বড় শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ ও চীনের সেপকো থ্রির মালিকাধীন এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের ১ নম্বর ইউনিটের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক সরবরাহ শুরু হয়েছে।  

বুধবার (২৪ মে) বেলা ২টা থেকে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে স্থাপিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ১ মেগাওয়াট দিয়ে সরবরাহ শুরু করে।

বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ তা ১০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়। এই কেন্দ্র থেকে রাতে পিক আওয়ারে সর্বোচ্চ ২০০ মেগওয়াট বিদ্যুৎ নেবে জাতীয় গ্রিড সঞ্চালন কর্তৃপক্ষ তথা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ- পিজিসিবি।
 

এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের উপপ্রকল্প পরিচালক (ইলেকট্রিক্যাল) প্রকৌশলী মো. ফয়জুর রহমান জানান, বেলা ২টা থেকে পিজিসিবি জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ নেওয়া শুরু করেছে। ১ মেগাওয়াট দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও ধীরে ধীরে উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়তে থাকে। রাতে পিক আওয়ারে সর্বোচ্চ ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেবে পিজিসিবি। যদিও ১ নম্বর ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ।  

সূত্র জানায়, গত ১৪ জানুয়ারি বেলা ১টা ৫৬ মিনিটে বাঁশখালীর ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টটি জাতীয় গ্রিডের ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের সঙ্গে যুক্ত হয়। বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে বাঁশখালীর গণ্ডামারা এলাকায় স্থাপিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এস আলম গ্রুপ ও চীনের সেপকো থ্রির যৌথ মালিকানাধীন। এটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হলেও সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির কারণে পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা নেই। এই প্রযুক্তিতে কম কয়লা পুড়িয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। বাংলাদেশের শতভাগ বিদ্যুতায়ন ও শিল্পায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এ প্রকল্প।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।