ঢাকা, শুক্রবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৬ মে ২০২৫, ১৮ জিলকদ ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নোমান চট্টগ্রামের উন্নয়নের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত: মেয়র শাহাদাত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:২০, মে ১৫, ২০২৫
নোমান চট্টগ্রামের উন্নয়নের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত: মেয়র শাহাদাত ...

চট্টগ্রাম:  আবদুল্লাহ আল নোমান চট্টগ্রামের উন্নয়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রাম তথা দেশের রাজনৈতিক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে প্রয়াত জননেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান যে অবদান রেখেছেন, তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।  

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বাকলিয়া শহীদ এনএমএমজে ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমানের শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

 

মেয়র বলেন, স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ডা. মিলন, মোজাম্মেল, জিহাদদের স্মরণে এই শান্তিপূর্ণ বাকলিয়ায় যে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল তৎকালীন মন্ত্রী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রয়াত আব্দুল্লাহ আল নোমানের। তাঁর সুযোগ্য ছেলে সাইয়েদ আল নোমান তূর্য আজ কলেজটির গভর্নিং বোর্ডের সভাপতি হিসেবে কাজ করছেন।

এটাই তাঁর বাবার আদর্শ ও কর্মকাণ্ডের বাস্তব প্রমাণ। নোমান ভাই কলেজটির জন্য রাতদিন পরিশ্রম করেছেন। বাকলিয়াবাসীও তাঁদের সঙ্গে ছিল। এটা আমরা ভুলে যেতে পারি না।

ডা. শাহাদাত অভিযোগ করেন, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নোমান ভাইয়ের নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগ। এটা খুবই দুঃখজনক। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখন তাদের স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট মানসিকতা কাজ করে। তারা কলেজের গভর্নিং বডি নিজেদের মতো করে বদলে দেয়।

মেয়র বলেন, নোমান ভাই আমাকে রাজনৈতিক জীবনের শুরুতেই অনুপ্রাণিত করেছিলেন। ছাত্ররাজনীতিতে যখন আমরা সংগঠন করতাম, তিনি পাশে থাকতেন, আমাদের হাতে কবিতার বই, কলম তুলে দিতেন, যাতে আমরা নবীনদের আকর্ষণ করতে পারি। তিনি ছিলেন উদার মনের, বিচক্ষণ ও দূরদর্শী রাজনীতিক।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে থাকত না, যদি নোমান ভাই সময়মতো দৃঢ় অবস্থান না নিতেন। পাথরঘাটা মহিলা কলেজ, এনায়েতবাজার মহিলা কলেজ, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, জেনারেল হাসপাতাল, কর্ণফুলী সেতু সবখানেই তাঁর অসামান্য অবদান রয়েছে। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন থেকে শুরু করে আধুনিক চট্টগ্রাম গঠনে যাঁর অবদান অনস্বীকার্য, সেই আব্দুল্লাহ আল নোমানের নাম ইতিহাসে সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে।

বাকলিয়া এলাকাবাসীর উদ্দেশে মেয়র বলেন, আজ যেসব উন্নয়ন দেখছেন বিস্তৃত রাস্তা, উন্নত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল এর অনেক কিছুই শুরু হয়েছিল নোমান ভাইয়ের হাত ধরে। তাঁর মতো নেতার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, মানবিকতা এবং উন্নয়নচিন্তা আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি সাঈদ আল নোমানের সভাপতিত্বে ও উপাধ্যক্ষ নুরুল আলম রাজুর পরিচালনায় শোকসভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহ।  

বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শামসুল আলম, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি প্রফেসারিয়াল ফেলো প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন। আলোচনা করেন বিএনপি নেতা এমএ সবুর, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হারুন জামান, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, সাবেক বিএনপি নেতা এসকে খোদা তোতন, আহবায়ক কমিটির সদস্য এসএম আবুল ফয়েজ, মো. কামরুল ইসলাম, জাফর আহমেদ, গভর্নিং বডির সদস্য জাকির হোসেন, মোহাম্মদ সৈয়দ, কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মালেক, রবিউল হাসান চৌধুরী প্রমুখ।  

এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।