ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তীব্র গরমে বেড়েছে শরবত-জুস বিক্রি, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৫ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৩
তীব্র গরমে বেড়েছে শরবত-জুস বিক্রি, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: জৈষ্ঠ্যের খর তাপে প্রকৃতিতে চলছে তীব্র দাবদাহ। ছাতিফাটা রোদে প্রাণ যেন ওষ্ঠাগত।

এমন গরমে ছুটে চলা তৃষ্ণার্থ পথিকের কাছে এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত যেন বিলিয়ে যায় শীতল পরশ। তাইতো প্রচণ্ড দাবদাহে তৃষ্ণা মেটাতে নানা ধরনের ঠাণ্ডা শরবতই ভরসা পথিকের ।
 

দোকানিরাও তৃষ্ণার্ত গ্রাহকদের সামনে এগিয়ে দিচ্ছেন লেবুর শরবত, বেল, পেঁপে, আখ, মাল্টার ঠাণ্ডা জুস। তবে এসব পানীয়কে অস্বাস্থ্যকর ও দূষিত বলছেন চিকিৎসকরা।  

তাদের মতে, এসব শরবত-জুস পানে তৃষ্ণা মিটলেও স্বাস্থ্যহানির ঝুঁকি বাড়ছে। এসব পানীয়তে টাইফয়েড, কলেরা, ও ডায়রিয়ার মতো রোগের জীবাণু রয়েছে বলেও তারা জানান।  

ফুটপাতের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এ পানীয় তৈরির প্রক্রিয়া সর্ম্পকে।  

তারা জানান, একটি পানির ফিল্টারের মধ্যে বরফ, কয়েকশ লেবু ও ‘ড্রিংক পাউডার’ নিয়ে তৈরি হয় এসব শরবত। মানভেদে এক গ্লাস শুধু লেবুর পানি বিক্রি হয় ১৫ টাকা এবং এই ড্রিংক পাউডার মেশানোর লেবুর পানি বিক্রি হয় প্রতি গ্লাস ২০ টাকা।  

নিউমার্কেট মোড়ে শরবত বিক্রি করা আবদুল মতিন বাংলানিউজকে জানান, কয়েদিনের গরমে শরবত বিক্রি বেড়েছে। প্রতিদিন দুইশ থেকে আড়াইশ গ্লাস শরবত বিক্রি হয়। তবে একটু বৃষ্টি হলেই বিক্রি কমে আসে। রিকশা চালক, ভ্যান চালক সহ নগরের খেটে খাওয়া মানুষ এ শরবতের ক্রেতা বলে জানান তিনি।  

আবার ফলের শরবত-জুসের দোকানেও গরমে এখন বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ। খালি চোখে এসব দোকানের শরবত-জুস তৈরির প্রক্রিয়া পরিচ্ছন্ন মনে হলেও কতটুকু স্বাস্থ্যকর এনিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে জুনিয়র কনসালটেন্ট হামিদুল্লাহ মেহেদী বাংলানিউজকে বলেন, ‘গরমে পানি খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য জরুরি। তবে রাস্তার পাশে যে শরবত বিক্রি করে তা অস্বাস্থ্যকর। এসব পানির মাধ্যমে পানিবাহিত রোগের জীবাণু থাকতে পারে। তাই এ সব পানীয় অবশ্যই পরিহার করা উচিত।  

এই চিকিৎসক আরও বলেন, অনেক সময় দেখা যায় রাস্তার পাশে বিক্রি করা পানীয়  অপরিচ্ছন্ন জারে রাখা হয়। তাছাড়া গ্লাসগুলো ঠিকমতো ধোয়া হচ্ছে না। ফলে জীবাণু থেকেই যাচ্ছে। একই গ্লাস বারবার ব্যবহারের ফলে একজনের জীবাণু আরেকজনের মধ্যেও যাচ্ছে। কোনও রোগাক্রান্ত ব্যক্তি খাওয়া গ্লাসে যখন আরেকজন সুস্থ মানুষ খাচ্ছেন, তখন জীবাণু খুব সহজেই সুস্থ মানুষটির শরীরে প্রবেশ করতে পারছে। ফলে দেখা যাচ্ছে, একজন সুস্থ মানুষের শরীরে সহজেই সংক্রমিত হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৩
এমআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।