ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৮ মে ২০২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাহাড়ে বসবাসরত ২৫০ পরিবারকে সরিয়ে নিলেন জেলা প্রশাসক 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৫০, আগস্ট ৬, ২০২৩
পাহাড়ে বসবাসরত ২৫০ পরিবারকে সরিয়ে নিলেন জেলা প্রশাসক  ...

চট্টগ্রাম: প্রবল বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামের পাহাড়গুলোতে বসবাসরতদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে নেওয়ার জন্য চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করেছেন।

শনিবার (৫ আগস্ট) রাতে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান আকবরশাহ এলাকার বিজয় নগর ও ঝিল পাহাড়গুলোতে অভিযান চালিয়ে ২৫০টি পরিবারকে দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যান।

এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ কামাল, কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক, স্টাফ অফিসার টু ডিসি প্লাবন কুমার বিশ্বাস ও আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

মানুষের জানমাল রক্ষায় জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান চট্টগ্রাম মহানগরে ৬টি সার্কেল ভাগ করেন।

জেলা প্রশাসকের নির্দেশে পাহাড় রক্ষায় ও মানুষের জানমাল রক্ষায় জেলা প্রশাসনের কয়েকটি টিম কাজ করছে। প্রতিদিন মাইকিং করে মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে সরে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, পাহাড়ে বসবাসরতদের মাইকিং করে সচেতন করার লক্ষে প্রতিদিন জেলা প্রশাসনের টিম কাজ করছে। আমি ঝুকিপূর্ণ ২৫০ পরিবারকে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়েছি। তাদের জন্য শুকনো খাবার থেকে শুরু করে প্রতিবেলার খাবারের ব্যবস্থা করেছি। চট্টগ্রামের সকল পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত পরিবারকে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী গত কয়েকদিন আগে বেলতলীঘোনায় পাহাড়ের পাদদেশ থেকে বসবাসরতদের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। যারা পাহাড় কাটার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা ও নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। পাহাড় রক্ষায় জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করছে। ব্যক্তি বা সরকারি মালিকানায় যারা পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত, সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২৩ 
বিই/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।