ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে সিটি ডেপেলপমেন্ট চার্জ চালুর দাবি মেয়রের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩
চট্টগ্রামে সিটি ডেপেলপমেন্ট চার্জ চালুর দাবি মেয়রের ...

চট্টগ্রাম: সিটি ডেভেলপমেন্ট চার্জ চালুর দাবি জানিয়ে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, আমি চট্টগ্রাম বন্দরের আয়ের মাত্র এক শতাংশ সিটি ডেপেলপমেন্ট চার্জ হিসেবে দাবি করেছিলাম। নানা আইনের গ্যাঁড়াকলে তা আটকে যায়।

তখন বাধ্য হয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে প্রস্তাব করলাম যে কনটেইনারগুলো বন্দরে নামে এবং ট্রাক-লরিগুলো বন্দরের পণ্য পরিবহন করে সেগুলো থেকে বন্দরের গেটেই সিটি ডেপেলপমেন্ট চার্জ আদায় করা হোক। রাজস্বের জন্য কেবল জনগণের হোল্ডিং ট্যাক্সের ওপর নির্ভর করে বসে থাকলে চট্টগ্রামের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ব্যাহত হবে।
মনে রাখতে হবে টানেলসহ নতুন প্রকল্পগুলো চালু হলে চট্টগ্রামের সড়কের ওপর চাপ আরো বাড়বে।

দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় মাহবুবুল আলমের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মেয়র এ দাবি জানান।  

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মেয়র রেজাউল বলেন, চট্টগ্রামের কৃতী সন্তান মাহবুবুল আলম দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে আমি আনন্দিত। এই প্লাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রামের উন্নয়নে তিনি আরও ভূমিকা রাখবেন এই আমার আশা।

‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স আর কিছু রাজস্ব আয়ের খাত ছাড়া আয়ের বড় কোনো উৎস নেই। অথচ এই স্বল্প আয়ে ৭০ লাখ মানুষের উন্নয়নের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে চসিককে। এত রাস্তা করি তা-ও রাস্তা ভেঙে যায়। কারণ সাধারণ রাস্তার ধারণক্ষমতা ১০ থেকে ১২ টন। অথচ, বন্দরকে কেন্দ্র করে অনেক ট্রাক-লরি নিয়ম ভেঙে চলে ৩০-৪০ টন পণ্য নিয়ে। ফলে সড়ক করার কিছুদিন পর অতিরিক্ত চাপে সড়ক নষ্ট হয়ে যায়। ’ বলেন মেয়র।  

সংবর্ধিত এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, চট্টগ্রামের মেয়র মহোদয়ের দাবিগুলো যৌক্তিক এবং চট্টগ্রামের উন্নয়নের স্বার্থেই এ দাবি আদায়ের জন্য কাজ করব। চট্টগ্রামকে এগিয়ে নিতে হলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতায়ন করতে হবে। চসিকের কাজ অন্য সংস্থা করলে তাতে নগরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। দেশকে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে উন্নীত করতে হলে চট্টগ্রামের যোগাযোগ সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে উন্নীত করতে হবে ৮ লেনে, চালু করতে হবে চট্টগ্রাম থেকে ব্যাংককসহ বেশ কিছু বাণিজ্যিক সরাসরি ফ্লাইট।  

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চসিকের প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, আফরোজা কালাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, ব্যবসায়ী নেতা সালেহ আহমেদ সুলেমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।