ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মাছ-মাংস-ডিম আর সবজি, দামে আগুন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৪
মাছ-মাংস-ডিম আর সবজি, দামে আগুন ...

চট্টগ্রাম: কয়েক সপ্তাহ ধরে সোনালী মুরগির দাম বাড়তি। কদিন আগেও যে মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৭০ টাকায়, সেই মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা।

পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাছের দামও। ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে বেড়েছে সবজির দামও।
 

গত সপ্তাহে কিছু সবজির দাম কমলেও এ সপ্তাহে বরবটি, টমেটো, কাঁচামরিচসহ দাম বেড়েছে বেশ কয়েকটি সবজির।

শুক্রবার (৩১ মে) নগরের চকবাজার, অক্সিজেন, বহদ্দারহাট, আতুরার ডিপো, কাজীর দেউড়ি, কর্ণফুলী কমপ্লেক্স, খাতুনগঞ্জ, রিয়াজউদ্দিন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

কয়েকদিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা বেড়ে দাম দ্বিগুণ হয়েছে বরবটির। কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে টমেটো ৮০ টাকা এবং ২০ টাকা বেড়ে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। মিষ্টি কুমড়া ও লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ঢেঁড়শ ও চিচিঙ্গা। শসা ও পটল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। করলা, বেগুন, আলু ও ঝিঙে ৬০ টাকা। লতি ও কচুর ফুল ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সোনালী মুরগির দামে ট্রিপল সেঞ্চুরি। ২৮০ টাকা কেজি সোনালী মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৩৬০ টাকায়। আর ব্রয়লার ২০০ থেকে ২২০ টাকা। বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি আর খাসি ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আকারভেদে রুই মাছ ২৬০ টাকা থেকে ৩৬০ টাকা, কাতলা ৩২০ টাকা থেকে ৩৬০ টাকা, মৃগেল ২০০-২৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০ টাকা থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, স্যালমন ফিশ ৪৫০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৮০০ টাকা, রূপচাঁদা জাত ও আকারভেদে ৫৫০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা, পোয়া মাছ ২৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, সুরমা ৩৫০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা, টেংরা ৩৭০ টাকা এবং নারকেলি মাছ ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিম প্রতি ডজন ১৫০ টাকা।

খাতুনগঞ্জে ৪০-৬০ টাকা কমে জিরা ৬৬০ টাকা, ১২০ টাকা কমে লবঙ্গ ১৩০০ টাকা এবং ৫ টাকা কমে দারুচিনি ৩৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে গোল মরিচের দাম। খাতুনগঞ্জে ৮২০ টাকা থেকে ৮৩০ টাকা কেজি দরে পণ্যটি বিক্রি হয়েছে। এখনও বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে হলুদ, এলাচ, গোলমরিচ এবং আদা। বৃহস্পতিবার হলুদ ২৬০ টাকা, এলাচ ৪ হাজার ২০ টাকা, আদা ২২০ টাকা, রসুন ১৯০ টাকা কেজি দরে পাইকারিতে বিক্রি হয়েছে খাতুনগঞ্জে।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দীন বলেন, সব ধরনের মসলা যথেষ্ট আমদানি হয়েছে। তাই এখন সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কমতে শুরু করেছে। কোরবানির ঈদে কোন সংকট হবে না।

হামজারবাগ বাজারের মুরগী বিক্রেতা মোহাম্মদ আরজু বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মুরগির দাম লাগামহীন। কিছুদিন গরম ছিল, তখন ফার্মে মুরগি মারা গেছে। এরপর আবার ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডব। তাই কমেছে সরবরাহ। আরও কিছুদিন বাড়তি দামেই মুরগি বিক্রি করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৪ 
বিই/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।