ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

লুটেরা সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি দেওয়ার দাবি 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৪
লুটেরা সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি দেওয়ার দাবি  ...

চট্টগ্রাম: আওয়ামী লীগ আমলে গড়ে ওঠা লুটেরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এনে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিক ও আন্দোলনে গুলি করে ছাত্রহত্যার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল থেকে তারা এসব দাবি জানান।  

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইয়াসির আরেফিন চৌধুরী, ওমর ফারুক সাগর, জুবায়ের আলম, রেজাউর রহমান, নীলা আফরোজ, সাফায়েত হোসেন, একেএম ইসতিয়াক সম্রাট।

সমন্বয়করা বলেন, গত ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিবাদের দোসর লুটেরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। তারাই এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিপদে ফেলতে কোনো কারণ ছাড়াই নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।  

অবিলম্বে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ করার দাবি জানান তারা।  

সমন্বয়করা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ছাত্রজনতার আন্দোলন নষ্ট করার অপচেষ্টা করেছিলো চট্টগ্রামের কতিপয় সাংবাদিক। তারা বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি পুলিশের সোর্স হিসেবে সরাসরি কাজ করেছে। তাদের কারণেই অসংখ্য আন্দোলনরত ছাত্রজনতা হতাহত হয়েছেন।

সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের কেউ কেউ প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ডেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা কর্মীরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পায়ের রগ কেটে দিয়েছে এমন মিথ্যাচারও করেছে। এই ধরনের চিহ্নিত সাংবাদিক নামধারী দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।  

সমন্বয়ক রিদুয়ান সিদ্দিকী বলেন, যে সব অতিউৎসাহী পুলিশ সদস্যরা বিনা উস্কানিতে ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার ওপর গুলি চালিয়ে হত্যার মতো জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে ।  

সমন্বয়ক রেজাউর রহমান বলেন, গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে এখনো প্রতি বিপ্লবের স্বপ্ন দেখছে পতিত স্বৈরাচারের দোসরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে শিক্ষার্থীদের এই দাবি মেনে দোষীদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানাচ্ছি।  

সমন্বয়ক নীলা আফরোজ বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা, ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিকদের বিচারের দাবি আদায় না হলে জুলাই বিপ্লবের মতো ফের আন্দোলনে নামবেন শিক্ষার্থীরা।  

সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যমে ফ্যাসিবাদের দোসররা ঘাপটি মেরে থাকার কারণে চট্টগ্রামের আন্দোলনে হতাহতদের সঠিক তথ্য গণমাধ্যমে প্রচার হয়নি। চট্টগ্রামের আন্দোলন সংগ্রামের সঠিক তথ্য প্রচার না হওয়ার দায় ঐ সব ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিকদের। গণমাধ্যম কর্তৃপক্ষ যদি ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিকদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আবার মাঠে নামবো।

মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৪ 
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।