চট্টগ্রাম: পবিত্র শবে কদরে মসজিদে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। এশার নামাজ, তারাবি নামাজ, নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, বয়ান, জিকির, মিলাদ, তাহাজ্জুদ, সালাতুস তাসবিহ, কাজা নামাজ, দান-সাদকা, তাসবিহ-তাহলিল, তাওবা-ইসতেগফার, দোয়া-দরুদ, জেয়ারতসহ নফল আমলে ব্যস্ত ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাতে নগরের দামপাড়া জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে দেখা গেছে মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড়।
বার আউলিয়ার পুণ্যভূমি খ্যাত চট্টগ্রামে পীর, আউলিয়াদের দরবার, খানকাহ, মাজারগুলোতেও ছিল ভক্ত, আশেক ও তরিকতপন্থীদের সমাগম। অনেক মসজিদে খতমে তারাবি সম্পন্ন করা উপলক্ষে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
আহমদ হোসেন বলেন, হুজুর, মসজিদের ইমামদের মুখে শুনেছি শব মানে রাত বা রজনী আর কদর মানে সম্মান, মর্যাদা, গুণ, সম্ভাবনা, ভাগ্য ইত্যাদি। শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী। আরবিতে লাইলাতুল কদর বা সম্মানিত রাত। এ রাত এত সম্মানিত যে, এক হাজার মাস ইবাদত করলেও যে সওয়াব হতে পারে, তার চেয়ে লাইলাতুল কদরের ইবাদতের সওয়াব অনেক বেশি। লাইলাতুল কদরের ফজিলত বোঝানোর জন্য মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ‘কদর’ নামে আলাদা একটি সুরা নাজিল করেছেন।
নামাজ পড়তে আসা হাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, জেনে না জেনে যত গুনাহ করেছি তার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছি। আমাদের যাবতীয় মুশকিল যাতে আসান হয়, বালা-মুসিবত থেকে যাতে রক্ষা পাই তার জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করেছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি, গাজা, ফিলিস্তিনসহ বিশ্বশান্তির জন্য দোয়া করেছি।
তিনি বলেন, বংশ পরম্পরা, শিক্ষাজীবন, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজনসহ নানাভাবে প্রভাবিত আমরা ধর্মীয় রীতিনীতি, আচার, এবাদতগুলো করে থাকি। আমাদের সমাজে পুরুষরা মসজিদে, নারীরা ঘরে সারা রাত জেগে নফল এবাদত করেন। সাহরি খেয়ে ফজরের নামাজ পড়ে বিশ্রাম নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৫
এআর/টিসি