ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ চৈত্র ১৪৩১, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মুক্তি মেলেনি মুন্নার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৫
মুক্তি মেলেনি মুন্নার ...

চট্টগ্রাম: কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করেছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এতে অংশ নিয়েছিলেন বোয়ালখালী পৌরসভার মো. শহীদুল আমিন মুন্নাও।

 

সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুমতি ছাড়া যেকোনো ধরনের বিক্ষোভ নিষিদ্ধ থাকায় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তার হতে হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি আল সদর জেলখানায় বন্দি মুন্না।

৩৪ বছর বয়সী এ যুবকের পরিবারের সদস্যরা অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।  

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্যোগে সাধারণ ক্ষমা পেয়েছেন ১৮৯ বন্দি। তারা দেশে ফিরেছেন। কিন্তু এখনও বোয়ালখালীর শহীদুল আমিন মুন্নাসহ ২০ জনের অধিক প্রবাসী বাংলাদেশি বিক্ষোভের জেরে আমিরাতের জেলে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করছেন।  

আবুধাবি থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফেরত আসা আবু রায়হান মিয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে বন্দিদের মুক্তিতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

২০২১ সালে জীবিকার তাগিদে কর্মী ভিসায় আরব আমিরাতের পাড়ি জমিয়েছিলেন বোয়ালখালী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কধুরখীল পাঠানপাড়ার মো. ইয়াকুব নবীর ছেলে মো. শহীদুল আমিন মুন্না।  

গত বছর জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে আবুধাবির খেজুরতল এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন মুন্না। ওই সময়ের ভিডিও ফুটেজ দেখে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করে দেশটির সরকার। বিক্ষোভ করার জেরে শহীদুল আমিন মুন্নাকে দেশে ফেরার সময় আবুধাবি বিমান বন্দরে আটক করা হয়। বর্তমানে আবুধাবির আল সদর কারাগারে বন্দি রয়েছেন তিনি।  

জানা গেছে,  মুন্না গত বছরের ২৪ অক্টোবর দেশে আসার সময় আবুধাবি বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার করে। তিনি জানতেন না তার নামে মামলা হয়েছে। মুন্নার যাবজ্জীবন (২৫ বছর) সাজা হয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছরের ২০ জুলাই আবুধাবির খেজুরতল এলাকায় জুলাই আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিলে মুন্না অংশ নিয়েছিলেন।

মুন্নার স্ত্রী তানিয়া আমিন বলেন, আমাদের ২ ছেলে বাবার পথ চেয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছে। বড় ছেলে মুহাম্মদ সিদরাতুল আমিন ইয়ারুফের বয়স ৯ বছর। বড় ছেলে বাবাকে দেখলেও ৪ বছরের ছোট ছেলে মুহাম্মদ মুনতাসীর আমিন ইশরাক এখনও তার বাবার মুখ দেখেনি। গত ৬ মাস ধরে মুন্নার পথ চেয়ে আছেন বৃদ্ধ বাবা-মা।

তানিয়া বলেন, আমাদের পরিবারের জন্য ঈদ আসেনি। কান্নার শেষ কবে হবে জানি না। একমাত্র আমাদের দেশের সরকার চাইলেই আবুধাবির বন্দিদশা থেকে মুক্তি মিলবে মুন্নার।  

মুন্নার বাবা মো. ইয়াকুব নবী বলেন, দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে আবুধাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে গিয়েছিল মুন্না। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আমার আকুল আবেদন, মুন্নাকে দেশে ফিরিয়ে আনুন।

বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২৫ 
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।