ঢাকা, রবিবার, ২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নগর উন্নয়নে পরিকল্পিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৫
নগর উন্নয়নে পরিকল্পিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে ...

চট্টগ্রাম: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং রেল মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, নগর উন্নয়ন শুধু অবকাঠামোতেই সীমাবদ্ধ নয়, নাগরিক সচেতনতা এবং অংশগ্রহণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রামকে আধুনিক ও বাসযোগ্য নগরে রূপান্তর করতে হলে আমাদের অবশ্যই পরিকল্পিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে।

সিআরবি কনফারেন্স রুমে নগরের সার্বিক কার্যক্রম, জলাবদ্ধতা নিরসন কার্যক্রমের অগ্রগতি ও পরবর্তী পরিকল্পনা বিষয়ে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রাণহানি বেড়ে চলেছে।

প্রাণহানির ঘটনা রোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় সচেতনতামূলক রোড সাইন ব্যবহার করা হবে এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক ছয় লেইনে উন্নীত করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সড়ক পুরোপুরি ছয় লেনে উন্নীত না হওয়া পর্যন্ত জনসচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতাল প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, রেলওয়ে হাসপাতালগুলোর অবস্থা বর্তমানে নাজুক। এই হাসপাতালগুলোর উন্নয়নের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক সই করা হবে, যাতে সাধারণ জনগণও এসব হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারে। রেলওয়ে হাসপাতালগুলোতে আরও উন্নত চিকিৎসাসেবা দিতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নিয়োগ এবং আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হবে।  

একই সাথে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ও অন্যান্য অবকাঠামোর উন্নয়ন ও স্টেশনের শৌচাগারগুলোর অবস্থা এবং রেলওয়ের প্রয়োজনীয় সংস্কারের কথা উল্লেখ করেন তিনি।  

সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা চট্টগ্রাম নগরের অনেক দীঘি এবং জলাশয় হারিয়ে ফেলেছি। নাগরিকদের জন্য পর্যাপ্ত পার্ক এবং জলাশয় দরকার। আগ্রাবাদ ডেবারপাড়, আসকার দীঘি ও ভেলুয়ার দীঘি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব জলাশয় জনগণের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। এগুলো নগরবাসীর জন্য প্রাকৃতিক বিনোদন কেন্দ্র হয়ে উঠবে এবং নাগরিক জীবনে পরিবেশের উন্নতি ঘটাবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৫
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।