ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আড়তে আসছে আনারস-কাঁঠাল

সোহেল সরওয়ার, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
আড়তে আসছে আনারস-কাঁঠাল ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: পাহাড়ে উৎপাদিত হানিকুইন সহ বিভিন্ন জাতের আনারসের সরবরাহ বেড়েছে নগরের আড়তগুলোতে। প্রতিদিন ট্রাকভর্তি করে আসছে ছোট-বড় আনারস।

সেই সঙ্গে আসছে কাঁচা কাঁঠাল।

রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষ হয় আনারস।

পাহাড়ি টিলা ভূমিতে চাষ করা হানিকুইন জাতের আনারস রসালো ও সুমিষ্ট হওয়ায় এর চাহিদাও রয়েছে বেশি।  পাইকারদের হাত হয়ে এ আনারস ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। খাগড়াছড়ির ‍বিভিন্ন উপজেলা থেকে আনা কাঁঠালের চাহিদাও রয়েছে নগরে।

নগরের স্টেশন রোডের ফলমণ্ডি ও ফিরিঙ্গিবাজার আড়তে চলছে আনারস-কাঁঠালের জমজমাট বিকিকিনি। শুধু আড়ত নয়, সড়কের ওপরও জমেছে স্তূপ।  ম ম গন্ধ বাতাসে।  

আড়তদাররা জানান, আনারসের উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবার যোগান ভালো আড়তে। তরমুজের পর খুচরা ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি আনারস নিয়ে যান। আর দাম হাতের নাগালে থাকায় সব শ্রেণির ভোক্তারাও কিনতে পারেন।

মোহছেন আউলিয়া ফল ভাণ্ডারের মালিক মো. সেলিম বাংলানিউজকে জানান, রাঙামাটির নানিয়ারচর থেকে একটি বড় ট্রাকে ১৮-১৯ হাজার আনারস আসে। ছোট ট্রাকে ৮-৯ হাজার আনারস আসে। প্রতিটি আনারসে গাড়িভাড়া, লাইন খরচ, চাঁদা মিলে তিন-চার টাকা পড়ে। পচনশীল পণ্য হওয়ায় আমরা সীমিত লাভে আনারস বেচে দিই। আনারসের মৌসুম জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত চলবে।  

মেসার্স মাটিরাঙা ফার্মের বিক্রয়কর্মী মো. নোমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিনই প্রচুর আনারস আর কাঁঠাল আসছে। চট্টগ্রামে এগুলোর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিক্রিও হচ্ছে ভালো।  

বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা খুচরা বিক্রেতারা প্রতি শ’ হিসেবে কিনে বস্তা, রিকশাভ্যানে করে আনারস-কাঁঠাল নিয়ে যাচ্ছেন। পাইকারিতে ছোট আনারস ১০ টাকা, একটু বড় সাইজের আনারস ১২-১৫ টাকা, বড় আনারস ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রিয়াজউদ্দিন বাজারের স্টেশন রোড এলাকার ফলের আড়তগুলো ঘুরে দেখা যায়, পাহাড়ি অঞ্চল থেকে আসা অর্ধশত শত ট্রাকের সারি। এসব ট্রাক থেকে রাস্তার ওপর নামানো হয় হাজার হাজার কাঁঠালসহ নানা ধরনের ফল। রাস্তার ওপর গড়ে তোলা হয়েছে কাঁঠাল, আনারস সহ নানা ফলের বাজার।  

পুষ্টিবিদরা বলছেন, আনারস দেহের গ্রন্থিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। থাইরয়েড গ্রন্থির স্ফীত হওয়া প্রতিরোধ করে। নিয়ন্ত্রণ করে উচ্চ রক্তচাপ। এটি আথ্রাইটিস উপশমে সহায়তা করে। কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে। ক্ষুদ্রান্ত্রের জীবাণু ধ্বংসে উপকারী আনারস। পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।  

কাঁঠালে থাকে ৯০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট। এতে থাকা শর্করা, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজ দ্রুত শক্তির জোগান দেয়। আমিষ, শ্বেতসার অপুষ্টিজনিত সমস্যা দূর করে। কাঁঠালে চর্বি বা কোলেস্টেরলের পরিমাণ খুব কম। এতে থাকা ভিটামিন ‘এ’ দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়, রাতকানা ও অন্ধত্ব থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন ‘সি’ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দাঁতের মাড়িকে শক্তিশালী করে। পর্যাপ্ত বিটা ক্যারোটিন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম দাঁত ও হাড় সুস্থ রাখে, ত্বক সুন্দর করে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের বলিরেখা দূর করে বা বয়সের ছাপ কমায়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
এসএস/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।