চট্টগ্রাম: তিন মাসে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার ড্রেন ও খাল সাফ করা হয়েছে উল্লেখ করে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, যেখানে পাওয়া গেছে টিভির কাভার, পোশাক, ফ্রিজের অংশসহ নানা রকমের বর্জ্য। এ সবের জন্যই খাল আবার দ্রুত ভরে যায়।
শুক্রবার (২৩ মে) চট্টগ্রাম কোর্টহিল আইনজীবী অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গণে ‘হেলথ কার্ড বিডি বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৪’র সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ বিষয়ে মেয়র বলেন, নগরে যেখানে-সেখানে ডাবের খোসা, প্লাস্টিক বোতল ফেলে রাখা হয়, যেখানে বৃষ্টির পানি জমে, সেখানেই এডিস মশার প্রজনন হয়।
শিশুরা যদি পরিচ্ছন্নতার শিক্ষা পায়, তারাই শহর রক্ষার সবচেয়ে বড় যোদ্ধা হয়ে উঠবে—আশাবাদ জানিয়ে মেয়র বলেন, একটি ছোট্ট শিশু যখন তার মা-বাবাকে বলে ময়লা রাস্তার বদলে ডাস্টবিনে ফেলতে, তখন সেই শিশু হয় আসল পরিবর্তনের দূত।
ইমরানুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন ব্যারিস্টার ফয়সাল দস্তগীর। উদ্বোধক ছিলেন লায়ন তালুকদার কামরুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আবদুস সাত্তার, মুহাম্মদ হাসান আলী চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম জনি, তৌহিদুল ইসলাম ও কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন।
মেয়র বলেন, ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটি, হেলদি সিটি ও সেফ সিটি গড়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হলো নাগরিকদের সচেতনতার অভাব। আমরা যদি শিশুদের ক্লাস রুম লেভেল থেকেই স্বাস্থ্য, পরিচ্ছন্নতা ও পরিবেশ সম্পর্কে শিক্ষা দিতে পারি, তাহলে তারাই পরিবার ও সমাজকে বদলে দিতে পারবে।
এই বর্ষা মৌসুমে আমরা ১০ লাখ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। ইতোমধ্যে ৪১টি ওয়ার্ডে প্রায় ৩০০ কর্মী গাছ লাগানোর কাজ শুরু করেছে। শিশুরা যেন জানে সালোকসংশ্লেষণ কীভাবে কাজ করে, গাছ কীভাবে অক্সিজেন দেয়—এই শিক্ষা তাদের পরিবেশ সচেতন নাগরিক করে গড়ে তুলবে। আমাদের শিশুরাই ভবিষ্যতে এই শহরকে পরিচ্ছন্ন ও সুরক্ষিত রাখবে। আমরা চাই একটি বৈষম্যহীন, দারিদ্র্যমুক্ত, সহনশীল ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ—যেখানে শিশুরা নিজের দেশের উন্নয়নে নেতৃত্ব দেবে।
এআর/টিসি