চট্টগ্রাম: টানা বৃষ্টির পরও নগরে জলাবদ্ধতা না হওয়া একটি বড় সাফল্য। এই সাফল্যের পেছনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ অন্য সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা রয়েছে।
চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টির পরও নগরজুড়ে জলাবদ্ধতা না হওয়ায় এভাবেই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক। শুক্রবার (৩০ মে) বিকেলে তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সমন্বিত জলাবদ্ধতা নিরসন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম জলাবদ্ধতা নিরসন কার্যক্রমের অগ্রগতি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে ভিডিও কলের মাধ্যমে জানান।
এসময় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. শরীফ উদ্দিন, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা এবং মেয়রের জলাবদ্ধতা বিষয়ক উপদেষ্টা শাহরিয়ার খালেদ প্রমুখ সঙ্গে ছিলেন।
উপদেষ্টা রহমতগঞ্জ, জেএম সেন লেন, জিইসি মোড়, মুরাদপুর ও বহদ্দারহাটসহ জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকাগুলো ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
চসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ১৬৭ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে নালা-নর্দমা পরিষ্কার ও খাল খননের কাজ যথাসময়ে শুরু করায় এবার নগরীর কোথাও উল্লেখযোগ্য জলাবদ্ধতা দেখা যায়নি। অন্তবর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনা অনুসারে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে একাধিক সমন্বয় সভা ও মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শনের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এতে চসিক, সিডিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় গড়ে ওঠে। এই ধারাবাহিক কার্যক্রমের ফলেই এবার নগরবাসী জলাবদ্ধতা থেকে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে।
এআর/পিডি/টিসি