ঢাকা, শনিবার, ২০ আষাঢ় ১৪৩২, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৯ মহররম ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে চবি শিক্ষক কুশল বরণের পদোন্নতি বোর্ড বাতিল

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৪৬, জুলাই ৪, ২০২৫
শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে চবি শিক্ষক কুশল বরণের পদোন্নতি বোর্ড বাতিল ...

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: হেফাজতে ইসলামের কর্মী এনামুল হক চৌধুরীকে হত্যাচেষ্টায় অভিযুক্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সংস্কৃত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. কুশল বরণ চক্রবর্তীর পদোন্নতি বোর্ড বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।  

শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 

এর আগে বোর্ড প্রত্যাহার ও অভিযুক্ত শিক্ষককে বিচারেে আওতায় আনার দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা।  

জানা গেছে, ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর হেফাজতে ইসলামের কর্মী এনামুল হক চৌধুরী চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীদের হামলার শিকার হন।

এ সময় এনামুল হক হামলাকারীদের কোপে মাথায় গুরুতর আহত হন এবং তার ডান হাত ভেঙে যায়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে তিনি গতবছরের ৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিকের আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণকে প্রধান আসামি করে ১৬৪ জনের নামে মামলার আবেদন করেন। এই মামলার ২০তম আসামি কুশল বরণ চক্রবর্তী।  

এদিকে কুশল বরণের পদোন্নতি বোর্ড বসার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেন শিক্ষার্থীরা।  

চবির লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রশিবিরের এফ রহমান হল শাখার সভাপতি মোনায়েম শরীফ বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, আজ দেশবিরোধী চক্রান্তে জড়িত ও ফ্যাসিবাদের সহযোগী কুশল বরণ চক্রবর্তীর পদোন্নতির জন্য বোর্ড বসানো হয়েছে। কুশল বরণ চক্রবর্তী জুলাইয়ের পর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত ছিলেন এবং দেশ নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছেন। আমরা তার পদোন্নতির প্রক্রিয়া বাতিল ও তার বিচার দাবিতে আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।

হত্যা মামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কুশল বরণ চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। ঘটনার সময় আমি ঢাকায় ছিলাম। আমি যদি সত্যিই ওই মামলার আসামি হতাম, তাহলে পুলিশ নিশ্চয়ই মামলা গ্রহণ করতো। কিন্তু পুলিশ তা করেনি। আজকে যারা আমার পদোন্নতি বোর্ড বাতিলের জন্য এসব করেছে, এরা সবাই একেকজন সন্ত্রাসী, পেইড এজেন্ট। আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তারা প্রমাণ করতে পারবে না। আমি মাইনরিটি অধিকার নিয়ে কাজ করি বলে তারা আমাকে 'ইসকন' এর সদস্য বলছে। আপনারা আমার সোশ্যাল মিডিয়ার কার্যক্রম দেখলেই বুঝবেন, আমি যে ইসকনের সদস্য না। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, কুশল বরণের বোর্ড প্রত্যাহার করা হয়েছে। সংবাদপত্রে উনার বিষয়ে বেশকিছু সংবেদনশীল নিউজ হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীরাও তার পদোন্নতির বিষয়ে আন্দোলন করছে। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে পদোন্নতি বোর্ড বাতিল করা হয়েছে।

এমএ/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।