চট্টগ্রাম: মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে জারি করা হয়েছে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত।
শ্রাবণের অঝোরধারায় সৃষ্ট জলজটে নাকাল জনজীবন।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মাহমুদুল আলম জানান, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ স্থানে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হবে। বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৮৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটারের মধ্যে হলে, সেটা হবে ভারী বৃষ্টি। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আরও দুই-তিনদিন বৃষ্টি হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামে পাহাড় ও ভূমিধস হতে পারে।
বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে সড়কে গণপরিবহন চলাচল করেছে কম। রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে গিয়ে বিভিন্ন সড়কে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। মুরাদপুর, প্রবর্তক, জিইসি মোড়, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, ওয়াসা মোড়, আগ্রাবাদ, হালিশহরে দুর্ভোগকে সঙ্গী করেই অফিসগামী মানুষকে যেতে দেখা যায় কর্মস্থলে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে।
ফ্লাইওভারেও দেখা গেছে জলজট, বিকল হয়ে যাচ্ছে গাড়ি। রেয়াজুদ্দিন বাজার, তিনপোলের মাথা, চান্দগাঁও, জুবিলি রোড, ওয়াসা, জিইসি মোড়, হালিশহর, পাঁচলাইশ মোড়, আতুরার ডিপো, মোহাম্মদ আলী রোড, আগ্রাবাদ, বিবিরহাট এলাকায় জমেছে হাঁটুপানি।
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৪ হাজার ৩৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সিডিএ ২টি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ১টি ও পানি উন্নয়ন বোর্ড ১টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এরইমধ্যে খরচ হয়ে গেছে ৮ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। ৫-১১ বছর ধরে চলমান প্রকল্পগুলোর কাজ এখন প্রায় শেষের দিকে।
সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, জলাবদ্ধতা বেশি হয়-এমন এলাকায় কাজ চলছে। বিভিন্ন এলাকায় খালের প্রশস্ততা বাড়ানো হচ্ছে। কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে যুক্ত খালগুলোতে স্লুইস গেট নির্মাণ, পাম্প স্থাপনকাজ শেষ হলে জলাবদ্ধতা সমস্যা দূর হবে।
এসি/টিসি