চট্টগ্রাম: কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নগরের প্রধান সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছোট বড় খানা-খন্দ সৃষ্টি হওয়ায় বিপাকে পড়ছেন গাড়িচালকেরা।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পুরকৌশল শাখা সূত্রে জানা গেছে, এবারের বর্ষায় নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে প্রায় ৮০টি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নগরের মুরাদপুর থেকে অক্সিজেন মোড়, মুরাদপুর থেকে চকবাজার অলি খাঁ মসজিদ মোড়, কাপাসগোলা সড়ক, হান্নান শাহ সড়ক, জাকির হোসেন সড়ক, বায়েজিদ বোস্তামী সড়ক, আরাকান সড়ক, এম এম আলী সড়ক, সিডিএ অ্যাভিনিউ, অক্সিজেন-কুয়াইশ সংযোগ সড়ক খানা-খন্দে ভরা।
একই অবস্থা শহীদ সাইফুদ্দিন খালেদ সড়কের কাজীর দেউড়ি থেকে জামালখান, ফকির মোহাম্মদ সড়ক, কবির আহমদ, সওদাগর সড়ক, আকমল আলী সড়ক, প্রাণহরি দাশ সড়ক, শুলকবহর আবদুল হামিদ সড়ক, নূর আহমদ সড়ক, জুবিলী সড়ক, আমবাগান সড়কের।
বেহাল অবস্থা প্রবর্তক মোড় থেকে ২ নম্বর গেট মোড়, সিডিএ অ্যাভিনিউ, কে বি আমান আলী সড়ক, ইশান মহাজন সড়ক, পোর্ট কানেকটিং (পিসি) রোডের নিমতলা থেকে বড়পোল পর্যন্ত অংশে সড়কের। দক্ষিণ কাট্টলীর প্রাণহরি দাশ সড়ক খোঁড়াখুঁড়ির পর আর ঢালাই করা হয়নি।
এসব সড়কে চলাচলরত চালকরা বলছেন, টানা বৃষ্টির কারণে নগরের বিভিন্ন সড়কে পানি জমে যাওয়ায় ছোট-বড় খানা-খন্দ তৈরি হয়েছে। যার কারণে গাড়ি চালানো দায় হয়ে পড়েছে। প্রায়ই বিকল হচ্ছে গাড়ি। এছাড়া ছোট-বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
গত এক সপ্তাহের ভারী বর্ষণের সঙ্গে জোয়ারের পানি একত্রিত হওয়ায় নগরের বিভিন্ন এলাকায় পানি উঠে যায়। মাত্র ১০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলেও জোয়ারের কারণে পরিস্থিতি অনেকটা অস্বস্তিকর হয়। এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, আমরা ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ জলাবদ্ধতা কমাতে সক্ষম হয়েছি। চট্টগ্রামের অনেক এলাকায় এখন আর আগের মতো পানি জমছে না। তবু কিছু কিছু এলাকায় কাজ বাকি রয়েছে। স্লুইসগেটগুলো নির্মাণ সম্পন্ন হলে জলাবদ্ধতা কমে আসবে।
এর আগে গত রোববার সংবাদ সম্মেলন করে সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি করতে গিয়ে ওয়াসা আইন মানছে না বলে দাবি করেন সিটি মেয়র। এভাবে চলতে থাকলে সংস্থাটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না বলেও সতর্ক করেন তিনি।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম জানান, টানা বৃষ্টির কারণে অনেক সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে কিছু খানাখন্দ ঠিক করা হচ্ছে। বর্ষা শেষ হলে পুরোদমে এসব সড়ক সংস্কার কাজ করা যাবে।
এসএস/এসি/টিসি