চট্টগ্রাম: বিএনপি চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটি সদস্য ইসরাফিল খসরু চৌধুরী বলেছেন, নারীরা বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে পুরুষদের ছাড়িয়ে গেছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে তারা সুযোগ পাচ্ছেন না।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে নগরের একটি ক্লাবে উইমেন অব এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ড সিজন-১ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানে মূল নেতৃত্বে ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া জানিয়ে ইসরাফিল খসরু চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে নারীদের ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক, স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। শত নির্যাতন, কারাবাস, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা-কোনো কিছুই তাঁকে দমাতে পারেনি। ২০১৮ সালে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল তাঁকে, কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, তাঁর মনোবল ভাঙেনি। কারণ, সত্য কখনো পরাজিত হয় না, সংগ্রাম কখনো বৃথা যায় না। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে সবার অংশগ্রহণ ছিল, সেখানে নারীদের বড় ভূমিকা ছিল। এটি বাংলাদেশের মানুষের বিজয়—কোনো গোষ্ঠীর নয়, কোনো দলের নয়, কোনো ব্যক্তিরও নয়। তিনি-ও একজন নারী। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে নারীদের ভূমিকা অপরিসীম।
ইসরাফিল খসরু বলেন, ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রি বলে একটি বিষয় আছে, যেখানে আপনারা অনেকে কাজ করছেন। কেউ ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে, কেউ মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে, কেউ বা কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ করছেন। আমার দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বর্তমানে ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কাজ করছে। এই ইন্ডাস্ট্রি কীভাবে ডেভেলপ করা যায়, তা নিয়ে আমরা ভাবছি। আমাদের দেশে যারা মিউজিশিয়ান, শিল্পী, কুটির শিল্পে কাজ করছেন—তাদের জন্য একটি সেক্টর ডেভেলপ করতে হবে। লন্ডনে একটি থিয়েটারের টিকিট ৪০০-৫০০ পাউন্ডে বিক্রি হয়। মানুষ সেখানে যায় কেন জানেন? কারণ ওই থিয়েটারের ভ্যালু ক্রিয়েট করা হয়েছে। আমাদের দেশীয় শিল্পকেও আমাদের ব্র্যান্ডিং করতে হবে।
উইমেন অফ এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ড সিজন-১ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসাদুজ্জামান সানি ও নাহিদুল ইসলাম টিপু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সাতজনকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
এমআই/টিসি