ঢাকা, শনিবার, ২১ ভাদ্র ১৪৩২, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৩৫, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫
বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজি ...

চট্টগ্রাম: কিছুদিন বৃষ্টির অজুহাতে বাড়তি দামে বিক্রি হয়েছিল সবজি। সেই দাম এখনও কমেনি।

কোনও কারণ ছাড়াই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি, ডিম, মাংস।  

বাজারে আলু ও কাঁচা পেঁপে ছাড়া হাতেগোনা কয়েকটি সবজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে।

বেগুন, সিম, বরবটি থেকে শুরু করে টমেটো- প্রায় সবকটি সবজির দামই নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে।  

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার ও কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

বাজারে টমেটো ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, ধনেপাতা প্রতিকেজি ১৫০ টাকা আর কচুশাক ৪০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া শাক ৫০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা ও লালশাক ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁকরোল, ঝিঙা, পটল, ঢ্যাঁড়স, শসা, করলা প্রতিকেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। বরবটি ১২০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কচুরমুখী, লাউ, মূলা কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। গাজর ১৬০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৬০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা, শালগম ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি আলু মানভেদে ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টিকুমড়োর দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।  

বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি ৬০০ থেকে ৬২০ টাকা, পাকিস্তানি কক ৩৫০ টাকা এবং জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়। গরুর মাংস ৮৫০ থেকে ৯৫০ টাকা, ছাগলের মাংস ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির ডিম ডজন প্রতি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগির ডিম ২৪০ টাকা ও হাঁসের ডিম ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বাজারে লইট্যা ও ফাইস্যা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, পোয়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, শাপলা পাতা মাছ ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, কোরাল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, রূপচাঁদা ৩৫০ থেকে ৭০০ টাকা, আইড় ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা, চিংড়ি (বাগদা ও গলদা) আকারভেদে ৬৫০ থেকে ১২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে এক-দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ২০০০ থেকে ২৪০০ টাকা, ৫০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৫০০ টাকা, এক কেজির কিছু কম ওজনের ইলিশ ১৮০০-২০০০ টাকা এবং জাটকা বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়। দুই-আড়াই কেজি ওজনের বড় ইলিশ মাছ প্রতিকেজি তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রুই ও কাতলা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০, পুঁটি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, নাইলেটিকা ২২০ থেকে ২৮০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৪৫০, কৈ ২০০ থেকে ২২০ এবং তেলাপিয়া ও পাঙাস মিলছে ২২০ থেকে ২৮০ টাকায়।

বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা কফিল উদ্দিন নামের এক শিক্ষক বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজারে সবকটি পণ্যের দাম বাড়তি। আমাদের নানাভাবে ঠকানো হচ্ছে। কিছুদিন প্রশাসন তৎপর থাকলেও এখন আবারও নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। যার কারণে বাজারে ইচ্ছেমতো পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে পুরোনো সিন্ডিকেট।  

বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।