নতুন বরাদ্দের মধ্যে রয়েছে আউটার রিং রোডের জন্য অতিরিক্ত ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা, মুরাদপুরের আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের জন্য ২৩৫ কোটি টাকা, বাকলিয়া অ্যাক্সেস রোডের জন্য ২০৬ কোটি টাকা এবং বায়েজিদ ফৌজদারহাট বাইপাসের জন্য ১৫০ কোটি টাকা।
আবদুচ ছালাম বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশের মতো চট্টগ্রামের উন্নয়নেও অত্যন্ত আন্তরিক।
তিনি বলেন, বৃহত্তর চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার বিশাল উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। মহেশখালী, বাঁশখালী বিদ্যুৎ কেন্দ্র, আনোয়ারা ও মিরসরাইয়ের স্পেশাল ইকোনমিক জোন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল, বন্দরের বে টার্মিনাল, এলিভেটেডে এক্সপ্রেসওয়েসহ বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সরকার। এসব প্রকল্পে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় হবে। কর্মসংস্থান, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ইত্যাদি বিবেচনায় নিলে উন্নয়নের এ মহাযজ্ঞ দেশের অর্থনীতির চেহারা পাল্টে দেবে।
মুরাদপুর আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ২৩৫ কোটি টাকায় আমরা চারটি র্যাম্প, ২ কিলোমিটার নতুন রাস্তা তৈরি, ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজের জন্য নষ্ট হওয়া দুপাশের সড়ক কার্পেটিং, মুরাদপুরে ড্রেন নির্মাণ, গার্ডার বসানোর সময় দুর্ঘটনা এড়াতে এক্সপেনশন জয়েন্ট, দুই নম্বর গেটে লুপে স্টিলের বক্স গার্ডার বসানো ইত্যাদি কাজ করা হবে।
তিনি জানান, ৫ দশমিক ২ কিলোমিটার থেকে বেড়ে এখন ফ্লাইওভারটির ছাদ ৬ দশমিক ৮ কিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে ৭৪৪টি গার্ডারের মধ্যে সাত শতাধিক গার্ডার তৈরি হয়ে গেছে। আশাকরি মার্চের মধ্যেই ফ্লাইওভার যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব হবে।
আউটার রিং রোড প্রকল্পের পরিচালক কাজী হাসান বিন শামস জানান, আউটার রিং রোডের মাটি ভরাটের কাজ ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। জমি অধিগ্রহণের কাজ ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে। আউটার রিং রোডের কাজ টেকসই করার লক্ষ্যে ডিজাইন পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাই ব্যয় বেড়ে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬
এআর/টিসি