শিলচর: আসামে ভয়াবহ নৌকাডুবির ঘটনায় নিহত হলেন প্রায় ১৫০ জন যাত্রী। এখনও পর্যন্ত ১০৩ জনের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর প্রধান।
সোমবার বিকেল অসমের ধুবড়ি ফেরি ঘাট থেকে মেদারতরি যাচ্ছিল একটি দোতলা নৌকা। সাড়ে চারটা নাগাদ মাঝ নদীতে হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাটি। অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল থাকায় টাল সামলাতে না পেরে উলটে ভেঙে যায় নৌকাটি। নৌকাডুবির পর প্রায় ১০০ জন সাঁতরে পাড়ে ওঠেন। এখনও অনেকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
প্রাথমিকভাবে উদ্ধারকার্য করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্থানীয় পুলিশ ও বিএসএফ জওয়ানরা উদ্ধার কাজ শুরু করে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও উদ্ধারের কাজে নামানো হয়। জলেশ্বরের কাছ থেকে বহু মানুষের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রধান অলোক ঝা। অন্ধকার ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয়।
দুর্ঘটনায় গভীর শোকজ্ঞাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল। খবর পাওয়ার পরই অাসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। উদ্ধারের কাজে রাজ্য সরকার সবরকমের উদ্যোগ নেবে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন অাসামের মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে দুর্ঘটনায় যাদের মৃত্যু হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে তাদের পরিবারগুলোকে আর্থিক সাহায্যেরও আশ্বাস দিয়েছেন মনমোহন সিং। নৌকাডুবির কারণ অনুসন্ধানে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অসমের তরুন গগৈয়।
এ্ই অঞ্চলে ফের ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সেকারণে নদী তীরবর্তী অঞ্চলে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর