ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

এবারও ভেস্তে গেল রিয়াং শরণার্থী প্রত্যাবর্তন

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৭ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১২

আগরতলা (ত্রিপুরা) :  এবারও ভেস্তে গেল রিয়াং শরণার্থীদের মিজোরামে ফিরে যাবার প্রক্রিয়া। শরণার্থীরা ফিরে যাননি তাদের স্বভূমিতে।



ত্রিপুরার ছয়টি শরণার্থী শিবিরে প্রায় ৩৭ হাজার রিয়াং শরণার্থী আশ্রয় নেন ১৯৯৭ সালে। তাদের কেউ কেউ ফিরে যাওয়ার পরও আবারও চলে আসতে বাধ্য হন। নতুন শরণার্থীও আসছেন মাঝে মাঝেই। সব মিলিয়ে এখন শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার।

তাদেরই ৬৬৯টি পরিবারের মিজোরাম রাজ্যের মামিত জেলায় ফিরে যাবার কথা ছিল। ছয়টি পর্যায়ে তারা ত্রিপুরা ছেড়ে মিজোরামে চলে যাবে, এ সিদ্ধান্ত হয়েছিল। প্রথম দলটি যাওয়ার কথা ছিল ২৬ এপ্রিল। ২৬ এপ্রিল থেকে ছয়টি ধাপে এই শরণার্থীদের ত্রিপুরা ছাড়ার কথা ছিল। এর মধ্যে শেষ দিনটি ছিল মঙ্গলবার।

কিন্তু নির্দিষ্ট ওই ছয় দিনে প্রায় কেউই মিজোরামে ফিরে যাননি। প্রথম দিন মাত্র দুটি পরিবার গিয়েছিল মিজোরাম।

শরণার্থী নেতারা নতুন করে ১৮ দফা দাবি তুলেছেন। তারা বলছেন, তাদের ওই দাবি পূরণ হলেই তবেই তারা স্বভূমিতে ফিরবেন।

ফেব্রুয়ারি মাসে রিয়াং শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে রাজ্য সফর করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। তিনি কথা বলেছিলেন শরণার্থীদের সঙ্গেও।

উল্লেখ্য, প্রায় ১৫ বছর আগে জাতিগত সংঘর্ষে মিজোরাম থেকে পালিয়ে এসে ত্রিপুরায় আশ্রয় নেন রিয়াং সম্প্রদায়ের মানুষরা। কাঞ্চনপুরের ছয়টি কাম্পে তারা থাকছেন। এখন তাদের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। শরণার্থীর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

বারবার এদের ফিরিয়ে নেবার কথা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। যারা পুনর্বাসনের জন্য ফিরে গিয়েছিলেন তারাও আবার ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন মিজোরাম থেকে। ওই রাজ্যের সরকারের সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন ছিল রিয়াং শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে। এখন আবার নতুন করে মিজোরাম ছেড়ে মানুষজন আসতে শুরু করেছেন।

বাংলাদেশ সময় : ১৩০৪ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১২
তন্ময় চক্রবর্তী
সম্পাদনা : অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।