ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নিয়ে কবি পরিবারে বির্তক

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা, জুন ১, ২০১২

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির প্রস্তবিত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নিয়ে এবার বির্তক দেখা দিলো কবি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে।

মাত্র কয়েকদিন আগেই কলকাতার নজরুল মঞ্চে কবির জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে কলকাতার রাজারহাটে নজরুল তীর্থ নামে একটি গবেষণা কেন্দ্র ও আসানসোলে কবির নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।



কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়টি আসানসোলে নয়, কবির জন্মভিটা চুরুলিয়া গ্রামে হোক, এমনটাই চাইছেন চুরুলিয়ার নজরুল একাদেডেমির সম্পাদক কবির ভাইপো কাজী মোজাহার হোসেন।

গত বুধবার চুরুলিয়ার নজরুল মেলার প্রমীলা মঞ্চে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কবির পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী, কবির দুই নাতি অনির্বাণ, অরিন্দম ও তাদের পরিবার। এ সময় মঞ্চে ‘নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় আসানসোলে নয়, চুরুলিয়াতেই হোক, এমনটাই চান চুরুলিয়াবাসী’ লেখা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্য একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করছিলেন কাজী মোজাহার হোসেন।

এমন সময় দেখা যায়, কল্যাণী কাজীসহ পরিবারের সব সদস্য মঞ্চ থেকে নেমে যান। পরে মঞ্চে ফিরে এলেও কল্যাণী কাজী ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেন।

তিনি জানান, যেহেতু তিনি কলকাতার নজরুল একাডেমির সঙ্গে যুক্ত এবং রাজারহাটে নজরুল তীর্থের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন, তাই তিনি এ ধরণের কোনো লিখিত প্রস্তাবে স্বাক্ষর করবেন না।

কাজী অনির্বাণ এদিন চুরুলিয়ার নজরুল একাডেমির নামে অভিযোগ করে বলেন, ‘এখানে আমার দাদুর জন্য কিছুই করা হয়নি। দাদুর ব্যবহৃত জিনিসপত্র, বাদ্যযন্ত্র, গ্রামফোনের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। ’

কাজী মোজাহার হোসেন এই অব্যবস্থার দায় সরকারের ওপর চাপিয়ে দিয়ে বলেন, ‘কাজী নজরুলের জন্য অতীতে কোনো সরকারই কিছুই করেনি। রাজ্য সরকার বরাবরই প্রয়োজনের থেকে অনেক কম বরাদ্দ পাঠিয়েছে নজরুল মেলার জন্য। ’

তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে বই, সিডি প্রকাশ হচ্ছে কবির জীবনের বিভিন্ন দিক ও গানের। বিশ্ববিদ্যালয় করতে আসানসোল যেতে হবে না। চুরুলিয়াতেই ৪০ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। চাইলে আরও পাওয়া যাবে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় হলে বর্ধমান নয়, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার মানুষ উপকৃত হবেন। ’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত নাট্যকার স্বপন বিশ্বাস বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় চুরুলিয়াতে হলে বেঁচে যাবে কবির গ্রাম। এখনকার নতুন প্রজন্ম কয়লা কাটতে না গিয়ে পড়াশোনা করবে। কর্মসংস্থান বাড়বে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: আহমেদ জুয়েল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।