কলকাতা : সোমবার কলকাতায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সচিব পর্যায়ে ছিটমহল নিয়ে আলোচনায় মানবিক বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্র বাংলানিউজকে জানিয়েছে, এদিনের আলোচনায় ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহ-সচিব হর্ষবর্ধন সিংলা, সহ সচিব বাংলাদেশ ডেক্স স্মীতা পন্থসহ আরো ৬ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।
অন্যদিকে রাজ্য সরকারের পক্ষে মুখ্যসচিব সমর ঘোষ, স্বরাষ্ট্র সচিব বাসুদেব ব্যানার্জি, কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গান্ধি প্রমুখ অংশ নেন।
প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে এদিনের বৈঠক চলে। বৈঠকে বলা হয়, বিনিময় কবে হবে তা দু’দেশের সরকার ঠিক করলেও বিনিময়কে ত্বরানিত করতে কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি এবার থেকে কোচবিহারের জেলাশাসক ও জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের সাথে সমন্বয় রক্ষা করবে।
ছিটমহল বিনিময়ের ফলে যে পরিবারগুলো ভারতে চলে আসতে চাইছেন তাদের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বেশ কয়েকটি মানবিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চলেছেন।
বাংলাদেশে ৪টি জেলায় অবস্থিত ভারতের ছিটমহলের যে ৭৪৩ জন নাগরিক মূল ভূখন্ডে আসতে চান, তারা একটি মাত্র চেকপোস্ট দিয়ে একসাথে ভারতে প্রবেশ করবেন।
ভারতে প্রবেশের সময় এদের একটি ট্রানজিট সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। প্রবেশের সময় প্রতিটি মানুষের টিকাকরণ করা হবে ও গর্ভবতী মায়েদের তালিকা করা হবে।
ভারতে আসার পর তাদের শিবিরে রাখা হবে। এখানে তাদের সরকারিভাবে খাওয়া পরার ব্যবস্থা করা হবে। পরে তারা ইচ্ছা মতো নিজেদের বাসস্থান খুঁজে নিতে পারবেন।
শিবির ছেড়ে নিজ বাসস্থানে চলে যাওয়ার সময় সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি পরিবারকে বাঁশ, ত্রিপল, জামাকাপড়, বাসনপত্র দেওয়া হবে।
রাজ্যের গ্রামন্নোয়ন দফতর ও জেলা শাসক পরিবারের কর্মক্ষমদের জন্য ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে আয়ের ব্যবস্থা করবেন। সেই সাথে নারীদের জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে তোলা হবে।
শিশু ও কিশোরদের স্থানীয় স্কুলে পড়াশোনার ব্যবস্থাও করা হবে সরকারিভাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১২
আরডি/
সম্পাদনা : সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর
kumar.sarkerbd@gmail.com