ঢাকা: ভারতে আবারও লিঙ্গ বৈষম্যের মর্মান্তিক পরিণতিতে ঝড়ে পড়লো একটি প্রাণ। দক্ষিণাঞ্চলীয় তামিলনাড়ু রাজ্যের কোমবাতোরে দ্বিতীয় বারের মত কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার অপরাধে স্বামীর নির্যাতনে প্রাণ হারিয়েছেন এক তরুণী বধূ।
নিহতের পরিবারের সদস্যদের উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ৪০ দিন আগে কন্যা সন্তান প্রসব করেন ২১ বছর বয়সী গৃহবধূ নাগদেবী। প্রথম সন্তান কন্যা হওয়ায় স্বামীর ইচ্ছা ছিলো পুত্র সন্তানের। কিন্তু পুত্র সন্তান জন্ম না দিয়ে দ্বিতীয়বারও কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ায় স্ত্রীর ওপর চড়াও হন স্বামী গাড়িচালক পান্ডিয়ারাজন। এ অপরাধে প্রায় প্রতিদিনই স্বামীর লাঞ্চনা আর নির্যাতনের শিকার হতেন ওই তরুণী।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরেই সদ্য প্রসূতি স্ত্রীর পেটে উপর্যুপরি লাথি মারেন পাষণ্ড স্বামী। অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের ফলে বৃহস্পতিবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই তরুণী।
পুলিশ ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। স্থানীয় থানায় নিহতের মা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অপরদিকে জন্মের প্রারম্ভেই মাতৃহারা নবজাতক শিশু এবং তার বড় বোন ঐশ্বর্যরিয়ার ঠাই হয়েছে খালা মঞ্জুলাদেবীর কোলে।
এদিকে নিহতের পরিবার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে, তাদের দাবি ন্যায় বিচার। এজন্য প্রয়োজনীয় আইনি লড়াই করতে তারা অঙ্গীকারবদ্ধ।
এ প্রসঙ্গে নিহতের বোন মঞ্জুলা দেবী বলেন, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা যখন কন্যা শিশু রক্ষার কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন তখনই এ ঘটনা ঘটলো। আমরা ন্যায় বিচার চাই। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১২
সম্পাদনা:রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর; নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর