কলকাতা: বোলপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূম জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, গত নভেম্বরে বোলপুরে এসে প্রশাসনিক বৈঠকে যে উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল তা ঠিকঠাক হচ্ছে কি না শুক্রবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী তা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন।
তিন দিনের বীরভূম ও বর্ধমান সফরে মন্ত্রিসভার বেশ ক’জন সদস্য, বিভিন্ন দফতরের সচিবসহ মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার রাতেই বোলপুর পৌঁছান।
শুক্রবার প্রশাসনিক বৈঠকের পর ডাকবাংলো মাঠে জনসভায় উপস্থিত হন তিনি। সেখানে একগুচ্ছ প্রকল্পের বিন্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। রেলের কয়েকটি কর্মসূচিতেও অংশ নেন তিনি।
তবে বীরভূম গিয়েও নানুরের বাসাপাড়ায় তৃণমূলের ২৭ জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে গেলেন না মুখ্যমন্ত্রী।
২০০০ সালের ২৭ জুলাই নানুনের সূচপুরে ১১ জন দলীয় কর্মী নিহত হন। তারপর থেকেই এই দিনটি নানুর দিবস হিসেবে পালন করে তৃণমূল।
২০১০ পর্যন্ত প্রতি বছরই এ দিনটিতে নানুরে গেছেন তৃণমূল নেত্রী। তবে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর একবারও যাননি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বোলপুরে অবস্থান করায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা আশা করেছিলেন, তিনি বাসাপাড়ার অনুষ্ঠানে যাবেন। কিন্তু, তা না হওয়ায় ক্ষুব্ধ দলীয় কর্মীদের একাংশ।
বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা আয়োজনের দায়িত্বে ছিল জেলায় তৃণমূলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী। সে কারণেই নানুরের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী যাননি বলে অনেকে অভিযোগ করছেন।
তবে, মুখ্যমন্ত্রী না গেলেও নানুরে নিহত দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মুকুল রায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র প্রমুখ।
এদিকে শনিবার বর্ধমানে একগুচ্ছ কর্মসূচিতে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। একটি জনসভায় অংশ নেওয়ার পাশাপাশি রেলের কয়েকটি কর্মসূচিও রয়েছে।
এর পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেমারিতে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়ে জেলার উন্নয়নমূলক কাজকর্মের পর্যালোচনা করবেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১২
আরডি/ সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর