ঢাকা: ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। মঙ্গলবার এ প্রক্রিয়ায় অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম।
প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য এ মন্ত্রণালয় ছেড়ে দেন এবং ভারতের প্রথম বাঙালি প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন প্রণব।
অপরদিকে, বর্তমান বিদ্যুৎমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্দেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এবং করপোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী বিরাপ্প মোলিকে বিদ্যুৎমন্ত্রালয়ের ভারপ্রাপ্ত করা হয়েছে।
মন্ত্রিসভার এ পুনর্বিন্যাসের একটি প্রজ্ঞাপনে মঙ্গলবারই প্রেসিডেন্ট স্বাক্ষর করেছেন।
এদিকে, ভারতের অর্ধেক অংশ যখন ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মুখে নিপতিত তখন বিদ্যুৎমন্ত্রী সুশীল কুমারকে সরিয়ে মোলিকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি বেশ চমক সৃষ্টি করেছে।
তবে মোলি দায়িত্ব নেওয়ার পরে বলেছেন, “দায়িত্ব গ্রহণের জন্য এটি কোনো খারাপ সময় নয়। জনগণকে বিদ্যুতের ব্যবহার আরো ভালভাবে করতে হবে। বিদ্যুৎ ঘাটতি জানা কথা... একজন মন্ত্রী সবকিছু করতে পারেন না। ”
এদিকে চিদাম্বরমকেও বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। যেখানে একদিন আগেই সরকার বর্তমান মূল্যস্ফীতিকে ‘কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’ বলে মন্তব্য করেছে।
তবে চিদাম্বরম আগে অর্থমন্ত্রী ছিলেন। এ কারণে প্রণবের পর তার নিয়োগ অনেকটা পুর্বঅনুমিত।
প্রণব মুখার্জির সময়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় সমালোচনার বিষয় ছিল নীতি বাস্তবায়নে ধীরগতি। অনেকে একে ‘পলিসি প্যারালাইসিস’ বলে অভিহিত করেছেন।
সে জায়গায় পি চিদাম্বরমকে সংস্কারপন্থি বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
তবে তারপরও চিদাম্বরমের ব্যাপারে বিরোধীদের পক্ষ থেকে কঠোর আপত্তি আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০০৮ সালে অর্থমন্ত্রী থাকার সময় ২জি স্পেকট্রাম টেলিকম দুর্নীতিতে তার ভূমিকার কারণে বিজেপি নেতৃত্বাধীন বিরোধীরা তাকে পার্লামেন্টে বয়কট করার কথা বলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর