মুম্বাই: ভারত সরকারের কাছে সবুজ সংকেত পেয়ে বাণিজ্য নগরী মুম্বাইতে উপ-হাইকমিশন চালু করার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছরের শেষে বা সামনের বছরের শুরুর দিকে হাইকমিশনের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হবে।
সম্প্রতি, উপ-হাইকমিশন চালুর বিষয়ে দিল্লিস্থ ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারেক এ করিম মুম্বাইতে সফর করে গেছেন। এই সফরের বিষয়টি নিয়ে তিনি মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল এস শঙ্কর নারায়ণন ও মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
রাজ্য প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে তারেক এ করিমের হাইকমিশন ভবনের জন্য পছন্দের তালিকায় রয়েছে নরিম্যান পয়েন্ট বা মালবার হিলস এলাকা। মুম্বাইয়ের ওই দুটি অঞ্চল ছাড়াও শহরতলীর বান্দ্রা-কুর্লা কমপ্লেক্সও তার পছন্দ হয়েছে।
মুম্বাইতে উপ-হাইকমিশন চালু হলে এটি হবে কলকাতার পর দ্বিতীয় উপ-হাইকমিশন কার্যালয়।
বাণিজ্যিক কারণ ছাড়াও অনেক বাংলাদেশি নাগরিক ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় পশ্চিম ভারতে আসেন। বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রের ভিসার জন্য মুম্বাইতে আসতে হয় তাদের। এছাড়াও পুনে ও মুম্বাইতে প্রচুর বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন।
এখন বাংলাদেশের ভিসা পেতে এই অঞ্চলের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে দিল্লি যেতে হয়। মুম্বাইতে উপ-হাইকমিশন চালু হলে এই সব সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছে কূটনৈতিকমহল।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: বেনু সূত্রধর,নিউজরুম এডিটর; নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর