আগরতলা (ত্রিপুরা): এখন থেকে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী যাদের ১৮ বছর হয়েছে, তারাও ভোটার হতে পারবে। এর জন্য স্কুলগুলোতেও করা হবে কর্মশালা।
ভোটারদের ভোটার তালিকায় নাম তোলার ব্যাপারে সচেতন করতে বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ত্রিপুরা রাজ্যের নির্বাচন দফতর। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় জনগণের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণে ভারতের নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে এসব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আশুতোষ জিন্দাল।
নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত ক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়ক এক কর্মশালায় সাংবাদিকদের এ খবর জানান তিনি।
এর অংশ হিসেবে ১০০ শতাংশ সচিত্র পরিচয়পত্র প্রদান এবং যারা এখনো সচিত্র পরিচয়পত্র পাননি তাদের পরিচয়পত্র প্রদানে এসব সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। জনবহুল এলাকায় পোস্টারিংসহ ব্যাংক, পোস্ট অফিস, বিমানবন্দর ইত্যাদি বিভিন্ন সরকারি দফতরকে যুক্ত করে এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এখন থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্কুল ও কলেজগুলোতে যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে, সেসব ছাত্র-ছাত্রীদেরও ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করার জন্য কর্মশালার আয়োজন করা হবে। কলেজগুলোতে নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হবে।
এছাড়া প্রতিটি ব্যাংকে থাকবে ড্রপবক্স। ভোটার তালিকায় নাম তোলা সংক্রান্ত ফরম বক্সে ড্রপ করা যাবে। এছাড়া মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ভোটার তালিকায় নাম আছে কিনা, তা জানা যাবে। বিভিন্ন পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সচিবদের কাছেও নির্বাচন কমিশনের আবেদনপত্র পাওয়া যাবে। ফলে নতুন ভোটাররা পঞ্চায়েত সচিবদের কাছ থেকে নাম তোলার জন্য ফরম সংগ্রহ করতে পারবে।
নববিবাহিতা গৃহবধূদের সচেতন করতে নির্বাচন কমিশন বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১২
তন্ময় চক্রবর্তী/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর