নয়াদিল্লি: ভারতীয় সংসদে বুধবার থেকে থেকে শুরু হতে চলেছে বাদল অধিবেশন। তার আগে সোমবার সংসদ ভবনে লোকসভার স্পিকার মীরাকুমারের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
সংসদ সূত্রে জানা গেছে, এবারের অধিবেশনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশের সম্ভাবনা রয়েছে। পেশ হতে পারে বিতর্কিত জমি অধিগ্রহণ ও খাদ্য সুরক্ষা বিল।
জমি অধিগ্রহণ বিলকে ঘিরে ইউপিএ-র শরিকদলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। এ নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে বারবার বৈঠকে হলেও মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র। তাই চাপে রয়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে খাদ্য সুরক্ষা বিল নিয়ে বামেদের আক্রমণের মুখে পড়তে চলেছে কেন্দ্র।
ইতিমধ্যেই এপিএল-বিপিএল না দেখে সবাইকে গণবণ্টন ব্যবস্থার মধ্যে আনার দাবি জানিয়েছে ৪ বাম দল। একইসঙ্গে উদ্বৃত্ত খাদ্যশস্য খরা কবলিত এলাকায় বণ্টনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে দেখা করে এ সংক্রান্ত স্মারকলিপি জমা দেয় ৪ সদস্যের বাম প্রতিনিধি দল।
স্ট্যান্ডিং কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী তাদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাম নেতারা। তার আগে শুক্রবার শেষ হয় দেশের সব নাগরিকের জন্য খাদ্য সুরক্ষার দাবিতে বামেদের ৫ দিনের আন্দোলন।
কেন্দ্রের আনা খাদ্য সুরক্ষা বিলের বেশ কিছু অংশ নিয়ে আপত্তি রয়েছে বামেদের। তাদের বক্তব্য, বিলের আওতায় অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের আনা হয়নি। অথচ এদের একটা বড় অংশই দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে।
বামেরা বলেছে- এপিএল, বিপিএল-এ ভাগ না করে সবাইকেই গণবন্টন ব্যবস্থার মধ্যে আনতে হবে। খাদ্য সুরক্ষা বিল সংশোধন করে আসন্ন বাদল অধিবেশনে পেশ করার দাবিও তুলেছে বাম দলগুলো। সরকারের ঘরে প্রায় পাঁচ কোটি টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে বলে বামেদের দাবি। তার মধ্যে প্রায় ২৫ লাখ টন রফতানি করা হয়েছে।
বাম প্রতিনিধি দলের দাবি, রফতানি না করে ওই খাদ্যশস্য খরা কবলিত এলাকায় বণ্টন করুক কেন্দ্র। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর এফসিআই-এর গুদামগুলো ঘেরাওয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামেরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১২
আরডি/ সম্পাদনা: জাকারিয়া মন্ডল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর