আগরতলা (ত্রিপুরা) : বিধায়ক পার্থ দাসের ইস্যুতে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছে কংগ্রেস। বিধায়ক পার্থ দাসের বিধায়ক পদ অবিলম্বে খারিজের দাবি জানায়।
কংগ্রেস ভবনে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস এস সি ডিপার্টমেন্টের রাজ্য কমিটির এক বর্ধিত সভায় একথা বলেন চেয়ারম্যান প্রকাশ চন্দ্র দাস।
তিনি বলেন, অবিলম্বে বিধায়ক পার্থ দাসের উচিত, বিধায়ক থাকাকালে পাওয়া সরকারি সমস্ত অর্থ কোষাগারে ফিরিয়ে দেওয়া। রাজ্য সরকারের উচিত, পার্থ দাসের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা।
উদয়পুরের শালগড়া তফসিলি সংরক্ষিত আসন থেকে আরএসপি দলের পক্ষ থেকে ২০০৮ সালের নির্বাচনে দাঁড়িয়ে জিতেছিলেন পার্থ দাস।
বামফ্রন্টের বিধায়ক পার্থ দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি জাল তফসিলি জাতির সনদপত্র দিয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধী দল নেতা রতন লাল নাথ। অভিযোগ তোলা হয়েছিল, প্রায় চার বছর আগেই। সোমবার রাতে এ অভিযোগের সত্যতা মেলে।
বিরোধী দল নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য সরকার তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। সোমবার রাতে সে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, পার্থ দাসের তফসিলি জাতির সনদপত্রটি জাল। ফলে তার বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যাবে।
প্রকাশ দাস বলেন, পার্থ দাসের জালিয়াতির ব্যাপারটি মাথা পেতে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উচিত পদত্যাগ করা। তিনি আরো জানান, পার্থ দাসের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানিয়ে প্রতিটি ব্লকে বুধবার মিছিল, বিক্ষোভ সভা ও গণধরণা পালন করবে প্রদেশ কংগ্রেস এস সি ডিপার্টমেন্ট। পাশাপাশি ৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় জমায়েত ও মহাকরণ অভিযান করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রকাশ দাস উল্লেখ করেন, এটি সংসদীয় গণতন্ত্রের কলঙ্কজনক অধ্যায়। এর বিরুদ্ধে নিন্দা জানানোর কোনো ভাষা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১২
তন্ময় চক্রবর্তী/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর