ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

মুম্বাইয়ে বাঙালি নারী আইনজীবীর খুনের রহস্য উদঘাটন

মুম্বাই সংবাদদাতা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১২

মুম্বাই: বাঙালি নারী আইনজীবী পল্লবী পুরকায়স্থর খুনের কিনারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করল মুম্বাই পুলিশ।

আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীর হাতেই খুন হয়েছেন তিনি।

তদন্তে নেমে এমনটাই দাবি করেছে মুম্বাই পুলিশ। পল্লবীর লাশ উদ্ধারের পর বৃহস্পতিবার রাতেই আবাসনের নিরাপত্তা রক্ষীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অভিযুক্তের নাম সাজ্জাদ পাঠান।

ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ওই আবাসনের সাজ্জাদ। পরে তাকে মুম্বাই সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশের দাবি, জেরায় সাজ্জাদ খুনের কথা স্বীকার করেছেন। উদ্ধার করা হয়েছে খুনে ব্যবহৃত ধারালো ছুরিটিও।

সাজ্জাদের বক্তব্য অনুযায়ী, পল্লবীর ওপর তার দুর্বলতা ছিল। উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে পল্লবীর ফ্ল্যাটের বিদ্যুতের লাইন কেটে দেন সাজ্জাদ। এরপর ইলেকট্রিশিয়ানকে সঙ্গে নিয়ে পল্লবীর ফ্ল্যাটে যান সাজ্জাদ। সে সময়ই তিনি ফ্ল্যাটের চাবি পকেটস্থ করেন বলে জানিয়েছেন সাজ্জাদ।

এরপর দিবাগত রাত দেড়টা নাগাদ ফের পল্লবীর ফ্ল্যাটে যান সাজ্জাদ। বেডরুমে ঢুকে পল্লবীকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে পল্লবী বাধা দেন। খুন করার আগে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছিল বলে জেরায় জানিয়েছেন সাজ্জাদ। এরপরই ছুরি দিয়ে গলা কেটে নৃশংসভাবে পল্লবীকে হত্যা করেন সাজ্জাদ।

পল্লবীর পুরুষবন্ধু অভীক সে সময় ফ্ল্যাটে ছিলেন না। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা নাগাদ ঘরে ঢুকে পল্লবীর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান অভীক। এরপর তাদের এক প্রতিবেশী পুলিশকে খবর দেন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের অভিজাত ওয়াডালা এলাকার হিমালয়ান হাইটস নামের এক বহুতল ভবনের ১৬ তলা থেকে উদ্ধার হয় পল্লবীর লাশ। তার গলায় ছুরির আঘাতের চিহ্ন দেখে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমাণ ছিল, খুন করা হয়েছে পল্লবীকে।

সে অনুযায়ী খুনের মামলা দায়ের করেন তার পুরুষবন্ধু অভীক সেনগুপ্ত এবং বাড়ির গৃহকর্মীকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করে পুলিশ। কথা বলা হয় আবাসনের দারোয়ান, লিফটম্যান, এলাকার হকার এবং আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দাদের সঙ্গেও। তদন্তের স্বার্থে পল্লবীর মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়। তারপরই রাতে সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পল্লবী পেশায় আইনজীবী ছিলেন। বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। অভিনেতা পরিচালক ফারহান আখতারের আইনি পরামর্শদাতা ছিলেন তিনি। পল্লবীর বাবা একজন আইএএস অফিসার। মা দিল্লির মহানগর টেলিফোন নিগমে কর্মরত।

যে বহুতল ভবন থেকে পল্লবীর লাশ উদ্ধার হয়েছে সেই আবাসনে তার পুরুষবন্ধু অভীক সেনগুপ্তের সঙ্গে থাকতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনিও পেশায় আইনজীবী।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১২
আরডি/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।