নয়াদিল্লি: ভারতীয় সংসদের বর্ষা অধিবেশনে শুক্রবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে পার্লামেন্টে বিভিন্ন দলের নেতারা বলেছে, ওই অঞ্চলের মানুষদের নিশ্চিত করতে হবে যে, তাদের নিরাপত্তাই সরকারের অগ্রাধিকারে রয়েছে।
সম্প্রতি মোবাইলে এসএমএস’র মাধ্যমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের আক্রমণের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এর জের ধরে ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরু, হায়দারাবাদ, চেন্নাইম, পুনেসহ দেশের বিভিন্ন শহর থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে।
এ পরিস্থিতিতে শুক্রবার লোকসভায় এ ব্যাপারে আলোচনার দাবি জানায় বিরোধীরা।
এদিন লোকসভার বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজ আসামে গোষ্ঠীগত সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ‘যথেষ্ট তৎপরতার অভাবের’ অভিযোগ তুললেও এ সঙ্কটময় মুহূর্তে দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সরকারের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন।
লোকসভায় সিপিএমের নেতা বাসুদেব আচারিয়া বলেন, “বেঙ্গালুরু, চেন্নাইসহ দেশের বিভিন্ন এলাকাকে উত্তর-পূর্ব ভারতের নাগরিকেরা আর নিরাপদ মনে করছে না। স্বাধীনতার ৬৫ বছর পরও কেনো এমন ঘটনা ঘটছে তা গভীরভাবে ভেবে দেখার প্রয়োজন আছে। ”
অন্যদিকে রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তার বক্তব্যে বলেন, “সংসদসহ গোটা দেশ উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষের পাশে আছে। ”
বেঙ্গালুরুসহ কয়েকটি শহর থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অধিবাসীদের গণপ্রস্থান সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এ দেশ তাদেরও। তারা যাতে দেশের যে কোনো প্রান্তে নিজেদের নিরাপদ মনে করেন সে ব্যবস্থা করতে হবে। ”
সেই সঙ্গে দাঙ্গার গুজব ছড়ালে সরকার কড়া ব্যবস্থা নেবে বলেও হুঁশিয়ারী দেন তিনি।
এদিকে, আগামী ১৫ দিনের জন্য মোবাইল ফোনে বাল্ক ম্যাসেজ পাঠানো নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ সিদ্ধান্তের ফলে এখন একটি সেলফোন থেকে পাঁচ জনের বেশি মানুষকে এসএমএস করা যাবে না।
উল্লেখ্য, গত মাসে আসামে স্থানীয় বড়ো আদিবাসী এবং মুসলিমদের মধ্যে সংঘটিত সহিংসতায় প্রায় ৮০ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সে ঘটনার জেরেই এখন ভারতের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থানরত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের ওপর হামলার হুমকি দিয়ে এমএমএস পাঠানোয় অন্য রাজগুলোতেও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর