ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ভারতে ২২ ও ২৩ আগস্ট ব্যাংক ধর্মঘট

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১২

কলকাতা: ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক বেসরকারিকরণ ও সঙ্কুচিত করার পরিকল্পনার প্রতিবাদে ২২ ও ২৩ আগস্ট দেশজুড়ে ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ব্যাংককর্মীরা।

ব্যাংক বেসরকারিকরণ ও সঙ্কুচিত করার লক্ষ্যে আগামী ২২ আগস্ট সংসদে ‘ব্যাংকিং আইন (সংশোধনী) বিল- ২০১১’ পেশ করতে যাচ্ছে কেন্দ্র সরকার।

এর বিরুদ্ধে ওইদিনই সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে নামার ঘোষণা দিয়েছে ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়নস (ইউএফবিইউ)।

এর আগে ‘ব্যাঙ্কিং আইন (সংশোধনী) বিল- ২০১১’ জনস্বার্থ-বিরোধী বলে অভিহিত করে ২৫-২৬ জুলাই ব্যাংক ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছিল ইউএফবিইউ।

পরে নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় শ্রম কমিশনারের ডাকে এক মীমাংসা বৈঠকে ইন্ডিয়ান ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (আইবিএ) জুলাইয়ের মধ্যে ব্যাংক ইউনিয়নগুলোর দাবি নিয়ে সমঝোতার আশ্বাস দিলে ইউএফবিইউ নেতারা ধর্মঘটের তারিখ পরিবর্তন করে আগামী ২২-২৩ আগস্ট করার সিদ্ধান্ত নেয়।

ইউএফবিইউ’র অন্যতম নেতা এবং ব্যাংক এমপ্লয়িজ ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বিশ্বাস রোববার বলেন, “আইবিএ কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিলেও এখনো পর্যন্ত দাবিগুলো নিয়ে কোনো সমঝোতার চেষ্টাই হয়নি। নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় সহকারী শ্রম কমিশনারের পক্ষ থেকে আগামী ২১ আগস্ট একটি মীমাংসা বৈঠকের কথা আমাদের জানানো হয়েছে। অথচ, ইতোমধ্যেই ২২ শে আগস্ট সংসদে বিলটি পেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। ” সুতরাং ওই মীমাংসা বৈঠক যে নেহাতই আনুষ্ঠানিক তা স্পষ্ট। কেন্দ্র সরকার ও আইবিএ কর্তৃপক্ষের এ অনমনীয় মনোভাবের বিরুদ্ধে তাই তারা ব্যাংককর্মীদের  ডাকা ২২-২৩ আগস্টের সর্বাত্মক ধর্মঘটে সামিল হবেন বলে জানান তিনি।

কেন্দ্র সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “বিদেশি বহুজাতিক ও দেশীয় একচেটিয়া পুঁজিপতিদের স্বার্থে নেওয়া এ ব্যাংকিং বিল প্রত্যাহারের দাবিতে শুধু এ দু’দিনের ধর্মঘটে ব্যাংককর্মীরা থেমে থাকবেন না। প্রয়োজনে আরো ধর্মঘট দিতে তারা বাধ্য হবেন। ”

রোববার ইউএফবিইউ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য শাখার আহ্বায়ক পিকে সরকার এক বিবৃতিতে রাজ্যে ধর্মঘট সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি জানান, আশু ও বকেয়া দাবিগুলোর দ্রুত মীমাংসা ছাড়াও ধর্মঘটের দাবির মধ্যে রয়েছে- অবিলম্বে ‘ব্যাংকিং আইন (সংশোধনী) বিল, ২০১১’ ও অন্যান্য সংস্কার কর্মসূচি প্রত্যাহার, গ্রামীণ শাখা বন্ধ না করা, আউটসোর্সিং বন্ধ করে সব শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ, কর্মীস্বার্থ বিরোধী খাণ্ডেলওয়াল কমিটির সুপারিশ বাতিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।