ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

এমপি আনার হত্যাকাণ্ড

লাশের টুকরা না পেলেও মামলা নিষ্পত্তিতে সমস্যা হবে না: হারুন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৪
লাশের টুকরা না পেলেও মামলা নিষ্পত্তিতে সমস্যা হবে না: হারুন

নিউটাউন থেকে: ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন-অর-রশিদের সঙ্গে আসা টিম তৃতীয় দিনও জোর তল্লাশি চালাচ্ছে।

কলকাতা পুলিশও সমানতালে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। দুই বাংলার এ দুই বাহিনীর মুখ্য উদ্দেশ্য, যে করেই হোক এমপি আনারের দেহাংশ উদ্ধার করা।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল থেকেই ডিবি ও কলকাতা পুলিশ তদন্ত এবং আনারের দেহাংশ উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। নিউটাউনের হাতিশালা খালে জোর তল্লাশির পাশাপাশি যে ফ্ল্যাটে আনার হত্যার শিকার হয়েছেন, সেটির কমোড ও সেপটিক ট্যাঙ্কের পাইপলাইন ভাঙা হচ্ছে তদন্তের স্বার্থে। এ ছাড়া হাতিশালা কাঠের ব্রিজের চারপাশে অধিকতর তল্লাশির জন্য কলকাতা পুলিশকে অনুরোধ করেছেন হারুন-অর-রশিদ।

ঢাকার ডিবি দল ও কলকাতা পুলিশের সঙ্গে তদন্ত কাজে যোগ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দা পুলিশ এবং রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী।

ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশিদের সঙ্গে কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, অপরাধীদের খুশি হওয়ার কোনো জায়গা দেব না আমরা। দোষীরা শাস্তি পাবেই। লাশের অংশবিশেষ না পাওয়া গেলেও মামলা নিষ্পত্তিতে কোনো সমস্যা হবে না। দুই বাংলার পুলিশের হাতে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে।

তিনি আরও বলেন, পারিপার্শ্বিকতা, ডিজিটাল এভিডেন্স, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, রক্তের নমুনা, সিসিটিভি ফুটেজসহ একাধিক তথ্য কাজে লাগিয়ে তদন্ত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। অপরাধীরা শাস্তি পাবেই। আমরা নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সমস্ত নথি আদালতে পেশ করবো। আশা করি তাতে বিচারপ্রক্রিয়া চালাতে কোনো সমস্যা হবে না।

দুই বাংলার গোয়েন্দা দল মনে করছে, গত ১৪ এপ্রিলের পর থেকে কলকাতার নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাটটির টয়লেটের কমোড ব্যবহার হয়নি। ফলে পাইপলাইনে কিছুটা হলেও দেহাংশ থাকতে পারে। এছাড়া ‘কসাই’ জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, হাতিশালা খালে কিছু অংশ ফেলা হয়েছিল। যে কারণে এ দুই স্থানে জোর তল্লাশি চালাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দারা।

কলকাতার গোয়েন্দা দল জানিয়েছে, মঙ্গলবারই ওই ফ্ল্যাটের কমোড ও সেপটিক ট্যাঙ্কের পাইপলাইন ভাঙা হবে। সেখান থেকে ফরেনসিক টিম নমুনা সংগ্রহ করবে। কোনো নমুনা পাওয়া গেলে ডিএনএ টেস্টের জন্য আনারের পরিবারকে ডাকা হতে পারে।

এর আগে ‘কসাই’ জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুই বাংলার পুলিশ জানতে পেরেছে, গত ১৩ মে রাতে আনারকে হত্যার পর ১৪ মে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তার দেহ টুকরা করা হয়। পরে মাংস কিমা করে এর বেশিরভাগ অংশ ৫৬ বিইউ ফ্লাটের কমোডে ফ্লাশ করা হয়েছে। হাড়গুলো অতিমাত্রায় ছোট টুকরা করে ফেলা হয়েছে খালের বিভিন্ন অংশে।

গত রোববার সকালে কলকাতায় আসে বাংলাদেশের তদন্তকারী টিম। বিভিন্ন জায়গা খতিয়ে দেখে মঙ্গলবার তারা তদন্তের স্বার্থে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেয়। হারুনের সঙ্গে আসা টিমে রয়েছেন ডিবি ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আব্দুল আহাদ ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সাহেদুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৪
ভিএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।