ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিল্পনীতি ও কর্মসংস্থান নিয়ে প্রশ্ন

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১২

কলকাতা: ভারতের অন্যান্য মেট্রোপলিটনগুলির তুলনায় কর্মসংস্থানে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে কলকাতা। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন অ্যাসোচ্যামের সাম্প্রতিক জরিপে মিলেছে এমনই তথ্য।



অ্যাসোচেমের সম্প্রতি জব স্ট্রেংথ অ্যাক্রশ সিটিস অ্যান্ড সেক্টরসের জরিপে দেখা গেছে,
২০১২-১৩ আর্থিক বছরের  প্রথম ৩ মাসে এপ্রিল থেকে জুনে কলকাতায় বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান কমেছে ৩৩ শতাংশ। এ তিন মাসে কর্মসংস্থান হয়েছে ৫ হাজার ৪০০ জনের। দিল্লিতে এ ৩ মাসে কর্মসংস্থানের পরিমাণ ২৯ হাজার। ২০১২-র জানুয়ারি থেকে মার্চে ৪ হাজার ২০০ জনের কর্মংস্থান হয়েছে কলকাতায়।

সারা ভারতে ৩ মাসে কর্মসংস্থানের পরিমাণ দেড় লাখ। সমগ্র ভারতের নিরিখে কলকাতায় কর্মসংস্থানের শতকরা হিসাব ৪ দশমিক ৩। যেখানে দিল্লিতে কর্মসংস্থানের পরিমাণ ২৩ শতাংশ।

ভারতের মোট ৩ হাজার ৫০০টি সংস্থার ওপর এ জরিপ করে অ্যাসোচ্যাম। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে জব পোর্টালে যে কাজের বিজ্ঞাপন তার ভিত্তিতেই এই সমীক্ষা রিপোর্ট তৈরি করা হয়।

কর্মসংস্থানে মেট্রোপলিটন শহরগুলির মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে দিল্লি, দ্বিতীয় মুম্বই, তৃতীয় ব্যাঙ্গালুরু, চতুর্থ পুনে, পঞ্চম চেন্নাই ও একবারে শেষস্থানে রয়েছে কলকাতা।

জরিপে দেখা যায় ২০১২-র এপ্রিল থেকে জুন এই ৩ মাসে তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কলকাতায় ১ হাজার ৯০০ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে ৩১৪, শিক্ষাক্ষেত্রে ৩০৭, উৎপাদন শিল্পে ২৭৫,ফিনান্স সার্ভিস বা আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রে ২৫৬ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে।

বিশেষজ্ঞমহলের ধারণা,  আর্থিক মন্দার কারণে দেশজুড়েই কর্মসংস্থানে বড় বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। কমেছে আর্থিক বিকাশের হার, ব্যাহত হয়েছে শিল্প উন্নয়ন। তবে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে মন্দার প্রভাব অনেকটাই বেশি। তার অন্যতম বড় কারণ বর্তমান সরকারের শিল্পায়ন নীতি।

তাদের আরো ধারণা, সরকারের জমি নীতির জেরে রাজ্যে বিনিয়োগে উৎসাহ হারাচ্ছেন শিল্পপতিরা। নতুন শিল্প না হওয়ায় কর্মসংস্থানেও ভাটা পড়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যদিও বারবারই দাবি করছেন শিল্প বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে তার সরকার যথেষ্টই কার্যকরী হয়েছে। কিন্তু অ্যাসোচেমের সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে অন্য কথা।

এদিকে, সিঙ্গুর থেকে টাটাদের ন্যানো গাড়ির কারখানা চলে যাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের ভাবমূর্তি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাসোচেমের মহাসচিব ডি এস রাওয়াতের ৷

তিনি বলেছেন, সিঙ্গুর থেকে টাটারা চলে যাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে শিল্পপতিদের মনে ৷

বাংলাদেশ সময়: ০৬১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।