ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

রান্নার গ্যাস ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ভারত জুড়ে বিক্ষোভ

নয়াদিল্লি করেনপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১২

নয়াদিল্লি: ডিজেলের দামবৃদ্ধি ও রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার প্রতিবাদ বিক্ষোভ হল সারা ভারত জুড়ে। এই বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে সরব বিরোধী থেকে কেন্দ্রের ইউপিএ-২ সরকারের শরিক দলগুলোও।



এদিন এই মূল্যবৃদ্ধিকে সমর্থন করে দিল্লিতে যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিংহ আলুওয়ালিয়া বলেন, “কঠোর, অপ্রিয় পদক্ষেপ হলেও ডিজেলের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি ছিল। দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮.২ শতাংশে নিয়ে যেতে হলে এধরনের আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। ”

কিন্তু বিরোধী শিবির, এমনকি, ইউপিএ শরিকদলগুলিও এই বক্তব্য মানতে নারাজ।

মুল্যবৃদ্ধির বিরোধিতায় একসুরে সরব সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থনকারী দল আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদব থেকে বিরোধী সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট।

প্রধান বিরোধী দল বিজেপি নেতা রাজনাথ সিং বলেছেন, “বিরোধিতার নামে কুমিরের কান্না করছে তৃণমূল বা ডিএমকের মতো ইউপিএ শরিকরা।

এদিকে, দিল্লি, মুম্বই, চন্ডীগড়, কানপুর, এলাহাবাদ, আগ্রা থেকে শুরু করে কলকাতায় ব্যাপক প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে।

বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। ডিজেলের দাম বৃদ্ধি ও এলপিজি গ্যাসের উপর ভর্তুকি কমানোর প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে কলকাতার হাওড়া ব্রিজ অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। অবরোধের জন্য বেশ কিছুক্ষণ স্তব্ধ ছিল ব্রিজের যান চলাচল।

অন্যদিকে,এর প্রতিবাদে বর্ধমানের আসানসোলের ২ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বামদল সিপিআই। আসানসোল বাসস্ট্যান্ড থেকে পৌর নিগমের অফিস পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করে সিটু।

হাওড়ার সাঁতরাগাছিতে রান্নার গ্যাসের উপর থেকে ভর্তুকি কমিয়ে দেওয়া ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করেন সিপিএম কর্মী সমর্থকরা।

পাশাপাশি এদিন সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে পথ অবরোধ করলেন ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। জয়নগরের পদ্মেরহাটে কুলপী রোড অবরোধ করা হয়। প্রায় ঘণ্টা খানেক এই অবরোধ চলে।

কেন্দ্রের শাসক দল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকারগুলিও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তে প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে। কেরলের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চন্ডী এদিন বলেছেন, কেন্দ্রের এই মূল্যবৃদ্ধি এড়ানো উচিত ছিল। পুরোপুরি সম্ভব না হলেও ডিজেলের বর্ধিত মূল্য অন্তত আংশিক প্রত্যাহার করা হোক।    

কেন্দ্র সরকারের আরও এক গুরুত্বপূর্ণ শরিক ডিএমকেও বলেছে, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে।

ডিএমকে সভাপতি এম করুনানিধি ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধীকে অবিলম্বে জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠক ডাকতে অনুরোধ করেছেন। তিনিও দাবি করছেন বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১২
আরডি/ জেডএম  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।