ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

দিল্লি নয়, মোদী আছেন গুজরাটেই

মান্নান মারুফ ও ইশতিয়াক হুসাইন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৪
দিল্লি নয়, মোদী আছেন গুজরাটেই ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

গান্ধীনগর (গুজরাট), ভারত থেকে: ‘নরেন্দ্র মোদী দিল্লিতে থাকবেন কেন, উনি তো এখনো গান্ধীনগরে আছেন, গুজরাটেই আছেন’।  

একি কথা।

এ লোক বলে কি? মাথা কি খারাপ হয়ে গেল নাকি? গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে নরেন্দ্র মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন, এরপর তিনি দিল্লিতেই আছেন। এতো সবারই জানা। কিন্তু গুজরাটের রাজধানী গান্ধীনগরের ট্যাক্সিচালক শৈলেশ ভাইয়ের কাছে মোদী এখনো গুজরাটেই আছেন। ওপরের কথাগুলো শৈলেশেরই। এটি অবিশ্বাস্য শোনালেও শৈলেশের মতো খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, মোদী তাদের কাছেই আছেন তার কাজ ও উন্নয়ন দিয়ে।  

শুধু শৈলেশই নয়, সরেজমিনে গান্ধীনগরের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তার বিষয়টি স্পষ্ট হয়। রাজধানী শহরকে চকচকে পরিপাটি করাই নয়, পুরো গুজরাটেই উন্নয়ন হয়েছে মোদীর শাসনামলে।

মোদী বাস্তবে নেই, বিশ্বাসে আছেন, কাজের মাধ্যমে আছেন। বিগত প্রায় ১৪ বছর এই প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে নরেন্দ্র মোদী এখানকার যে উন্নয়ন করেছেন তা এখন কমবেশি সবারই জানা। এই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে গুজরাটের সবখানেই। যার ফল পেয়েছেন হাজারো শৈলেশ। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্তরাও বাদ যাননি।

গেল নির্বাচনে গুজরাটের উন্নয়ন মডেলকে সামনে রেখেই নরেন্দ্র মোদী পুরো ভারতে তার পক্ষে জোয়ার সৃষ্টি করেছিলেন। এতে কংগ্রেসের হয় ভরাডুবি। মোদী ও তার দল বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দিল্লির মসনদে আসীন হয়।  
 
১৪ বছরে মোদী রাজধানী গান্ধীনগরকে তৈরি করেছেন আধুনিক নগরী হিসেবে। গান্ধীনগরকে সাজিয়ে তিনি এর পাশে তৈরি করেছেন গিফটসিটি। প্রায় ৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের গিফটসিটিকে তিনি তৈরি করেছেন অত্যাধুনিক সুবিধাসম্বলিত একটি শহর হিসেবে। গুজরাট ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স টেক-সিটি (গিফট) মূলত উন্নতমানের বৈদ্যুতিক সেবা, পানি, গ্যাস, ডিস্ট্রিক্ট কুলিং, সড়ক, টেলিযোগাযোগ এবং ব্রডব্যান্ড সুবিধা দিতেই এই শহরের প্রতিষ্ঠা করেন মোদী। শহরটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন, ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন জোন, এন্টারটেইনমেন্ট জোন, হোটেলস জোন, কনভেনশন সেন্টার রয়েছে এই সিটিতে।  

মোদী গান্ধীনগরকে এমন পরিকল্পিতভাবে করেছেন যে, এই নগরীর সঙ্গে তুলনীয় আর কোনো শহর নেই ভারতে। তৈরি করেছেন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র, কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র । যার ফলে নিজেদের চাহিদা মিটিয়েও বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে এই রাজ্য। এরই মধ্যে গুজরাট সোলারের মাধ্যমে ৭০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বিপ্লব ঘটিয়েছে। সোলার থেকে এ বছরের মধ্যে আরো এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে।

গুজরাটের ঘরে ঘরে দিয়েছেন পাইপলাইনে গ্যাস, ব্রডব্যান্ট ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি। টাটা ন্যানো, রিলায়েন্সসহ বিশ্বের বহু নামিদামি কোম্পানি এখন গুজরাটে শিল্পকারখানা তৈরি করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় রিফাইনারি কারখানাটিও গুজরাটে।
 
সরকার জৈবপ্রযুক্তি নীতি প্রণয়ন করায় জুনাগড়ে জৈবপ্রযুক্তি শিল্পের বিকাশ দ্রুততর হয়েছে। শিল্পকারখানার পাশাপাশি কৃষিতে বিগত ৫ বছরে ১২.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে গুজরাট। সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল শহরের মধ্যে গুজরাটের আহমেদাবাদ, সুরাত, রাজকোট, জামনগর ও ভবনগর স্থান করে নিয়েছে।

এসব উন্নয়নই মানুষের মনে স্থায়ী বসত গড়ে দিয়েছে মোদীর। দিল্লি থেকেও তাই তিনি গুজরাটেই আছেন।      

বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৪

** আহমেদাবাদের কাপড় জগতে নয়া মনীষা রাণী!
** মোদীর গুজরাট উন্নয়নের আইকন ‘গিফটসিটি’
** চকচকে পরিপাটি ‘গান্ধীনগর’
** আহমেদাবাদ থেকে বাংলাদেশ যাচ্ছে ব্লাড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন
** ঘুরে আসি আজমীর
** দিল্লি প্রেসক্লাবে সাবসিডি নেই!
** দিল্লির রাতে সস্তা দোকানিরা...

** মাকরানার হোয়াইট মার্বেলেই অনিন্দ্য তাজমহল

** দিল্লির আশীর্বাদ দিল্লি মেট্রো,ঢাকা মেট্রো কবে

** অ্যারাভেলি পর্বতে ঘেরা ভ্রাতৃত্ব

** ৩৬ ঘণ্টার বিচিত্র রূপ!

** ইন্টারনেটে বাংলাদেশ এগিয়ে

** সেই তো আমরাই!
** লাইফলাইন অব ইন্ডিয়া
** দিল্লি কত দূর?
** ভারতীয় ইমিগ্রেশনে বাংলাদেশের মর্যাদা
** গ্রীনলাইনে ভুগতে ভুগতে কলকাতা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।