কলকাতা: কলকাতার মাছের বাজারে কিছুদিন ধরেই দাম চড়া। জোগানও চাহিদার তুলনায় কম।
এদিকে বর্ষার বাজারে নেই ইলিশ। যা অল্প কিছু আছে দাম ন্যূনতম ১২শ রুপি। সঙ্গে যোগান নেই পমফ্রেট, পাবদা, পারসে মাছের।
মাছ ব্যবসার সঙ্গে প্রায় পঁচিশ বছর যুক্ত গড়িয়াহাট এলাকার এক মাছ বিক্রেতা জানান, সমুদ্রের মাছের জোগান কম হওয়ার একটি কারণ আবহাওয়া। আবহাওয়া খারাপ থাকায় মাছ ধরতে যেতে পারছেন না মৎস্যজীবীরা। ফলে জোগান কম।
অন্যদিকে পাইকারি মাছের বিক্রেতারা জানান, অনেক মৎস্যজীবী তাদের পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন, কারণ এই পেশায় সেভাবে আর লাভ নেই। মৎস্যজীবীদের নতুন প্রজন্ম আর এ কাজ করতে মোটেও উৎসাহী নয়। এটিও একটি বড় কারণ।
এই আর্থ-সামাজিক কারণগুলির সঙ্গে যোগ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে মাছে ‘ব্রিডিং’ কম হওয়ার ফল।
আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন মৎস্যবিজ্ঞানিরা। তারা জানাচ্ছেন, মাটিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করার ফলে মাছের সমস্যা হচ্ছে। মাটিতে প্রচুর পরিমাণে আর্গানো-ফসফেট ব্যবহার করায় মাছের জন্মহার মারাক্তকভাবে কমতে শুরু করেছে।
এছাড়াও অন্যান্য রাসায়নিক সার নদী পুকুরের জলের সঙ্গে মেশায় মাছের উৎপাদন কমে যাচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের স্টেট ফিসারিজ ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার বিজন মন্ডলও একই কথা জানিয়েছেন।
তবে ক্রেতারা মনে করছেন, এভাবে মাছের জোগান কমতে থাকলে মাছপ্রিয় বাঙালি একদিন ‘মাছে ভাতে বাঙালি’র তকমাটা হারিয়ে ফেলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৫
ভিএস/এএ