ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

মমতার হাতে থাকবে ‘তৃতীয় ফ্রন্টে’র নিয়ন্ত্রণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৬
মমতার হাতে থাকবে ‘তৃতীয় ফ্রন্টে’র নিয়ন্ত্রণ

কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল জয়ের ফলে যে তৃতীয় ফ্রন্টের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে সেই অ-কংগ্রেসি এবং অ-বিজেপি তৃতীয় ফ্রন্ট গঠন হলেও এর নিয়ন্ত্রণ থাকবে তার হাতেই।

 

পরিষ্কারভাবে বললে, তৃতীয় ফ্রন্টের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

 

তবে রাজনীতির ভাষায় এ সম্ভাবনার কথা ‘প্রিম্যাচিওর’ বলে মনে হলেও অঙ্কের হিসেব যদি মিলিয়ে নেওয়া হয় তবে এই চিত্রটি পরিষ্কার হবে।

ভারতের লোকসভায় মোট ৫৪৫টি আসন আছে। এর মধ্যে ৫৪৩ টি নির্বাচনের মাধ্যমে এবং দু’টি আসনে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিকে বেছে নেওয়ার মাধ্যমে ঠিক করা হয়।
 
তৃতীয় ফ্রন্টে যে দলগুলো সম্ভাব্য আসতে পারে ২০১৪ সালের ভারতের লোকসভা নির্বাচনের হিসেব দেখলে সেই দলগুলোর মধ্যে বেশি আসন পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।

পশ্চিমবঙ্গের ৪২ টি আসনের মধ্যে ৩৪ টি আসন পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি ছাড়া তৃণমূল কগ্রেসের প্রাপ্ত আসনের কাছাকাছি কংগ্রেস গোটা ভারতে পেয়েছিল ৪৪ টি। আর এ ডি এম কে পেয়েছিল ৩৭ টি আসন।

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়। ত্রিপুরা, মিজোরাম ও আরও এক বা একাধিক রাজ্য থেকে লড়াই করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভায় আরও বেশি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

দেখলে মনে করাই যায়, ২০১৪ সালের ৩৪ টি আসনের থেকে বেশি আসন ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পেতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

এই সম্ভাবনার কথা হিসেবের মধ্যে রাখলে পরিষ্কারভাবে বলা যায়, যদি তৃতীয় বিকল্প গড়ে ওঠে তবে সেখানে প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে মমতার।

সম্ভবত এ কথা মাথায় রেখেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর মুহ‍ূর্তেই দিল্লির রাজনীতিতে নিয়ম করে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, একদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তি বৃদ্ধি অন্যদিকে কংগ্রেসের শক্তি ক্ষয় এই দুই হিসেবকে সামনে রাখলে তৃতীয় ফ্রন্টের নেতৃত্ব হিসেবে মমতার নাম উঠে আসে। যদিও প্রতিটি আঞ্চলিক দলের রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার জায়গাটিকে এই ক্ষেত্রে মাথায় রাখা জরুরি।
‘তবে সামগ্রিক পরিস্থিতির দিকে নজর দিলে  সব যুক্তিতেই তৃতীয় ফ্রন্টের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে মমতার নাম চলে আসছে। ’

এছাড়া ভারতের রাজনীতিতে জোট রাজনীতি ক্রমশ প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে। সেখান থেকে এ নতুন জোটের সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তাদের দাবি, এক্ষেত্রে ভারতের রাজনীতিতে জোট রাজনীতির প্রবক্তা বাম দলগুলো এ নতুন জোটে বিশেষ ভূমিকা নিতে পারবে বলে মনে হয় না।

‘এখন লক্ষ্য রাখতে হবে, ২০১৭ ও ২০১৮ সালের বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচন। কেননা এ ফলাফলই স্পষ্ট করে দেবে ভারতের রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে জোট রাজনীতির ভবিষ্যৎ। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৬
ভি.এস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।