ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

মনমোহনের আগমনে কলকাতায় বাংলাদেশি ছিটমহলবাসীদের বিক্ষোভ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১১
মনমোহনের আগমনে কলকাতায় বাংলাদেশি ছিটমহলবাসীদের বিক্ষোভ

কলকাতা: ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোন সিং রোববার বিকেলে কলকাতায় আসছেন। তাই সকাল থেকেই কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখালেন বাংলাদেশি ছিটমহলের প্রায় দুই হাজার বাসিন্দা।


 
আসন্ন বাংলাদেশ সফরে মনমোহন সিং সেপ্টেম্বরের ৬ তারিখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে নিয়ে ঢাকায় আসছেন। সেই সফরে ছিটমহল বিনিময় নিয়ে দুই দেশের নতুন চুক্তি হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।

ভারতে ৫১টি বাংলাদেশি ছিটমহল ও বাংলাদেশে ১১১টি ভারতীয় ছিটমহলের কয়েক লাখ মানুষ সেই চুক্তির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন বলে এদিন কলকাতায় বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ছিটমহলবাসীদের সংগঠনের নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত।

এদিন তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের সংগঠন ‘ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহাল বিনিময় সমন্বয় কমিটি’র প্রধান দাবি করেন সব ছিটমহলবাসীর নাগরিকত্ব ও পুনর্বাসন এবং ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির আলোকে ছিটমহল বাস্তবায়ন করতে হবে।

 বাংলাদেশের রংপুরেও এ দিন একই দাবিতে সমাবেশ করছেন ভারতীয় ছিটমহলের বাসিন্দারা।

দীপ্তিমান বলেন, ‘গত ৬৪ বছরে সরকার ১৭ হাজার ২৬৪ একর জসির কোনো কর পায়নি। এই রাজস্ব ক্ষতিটা নিয়ে কী চিন্তা করছে সরকার। সেই মানব সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে তা নিয়ে কেই ভাবছে না। ’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘দুই দেশের ছিটমহলগুলোর কয়েক লাখ বাসিন্দা মধ্যযুগীয় ব্যবস্থায় নূন্যতম মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে দিন কাটাচ্ছেন। দুই দেশের কেউই এঁদের নাগরিকত্ব দেয়নি। ছিটমহলগুলিতে স্বাস্থ্য-শিক্ষার ব্যবস্থা নেই। বাসিন্দারা চিকিৎসার জন্য মূল ভূখন্ডে এলে পুলিশ তাদের বিদেশী বলে গ্রেফতার করে হেনস্থা করে। ’
 
তিনি বলেন, ‘ভারত সরকারও বাংলাদেশ সরকার মিথ্যাচার করছে। আজকের এই সমাবেশ থেকে আমরা স্পষ্ট বার্তা  দিতে চাই মনমোহন সিং কলকাতায় আসছেন, তাকে বুঝিয়ে  দিতে হবে তিনি যদি সমস্যার সমাধান না করেন তাহলে তিনি রাজ্যের যেখানে যাবেন আমরা সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ করব। ’

তিনবিঘা করিডোর ২৪ ঘণ্টা খোলার প্রস্তাবকে সমর্থন করে তিনি বলেন, ‘এটা যারা বিরোধীতা করছে তারা অমানবিক আচরণ করছেন। ’

এদিন তিনি এও জানান, তাদের দাবিগুলি নিয়ে তারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে স্মারকলিপি দেওয়া কথা ভাবছেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭৪-এর ১৬ মে দিল্লিতে ইন্দিরা গাঁধী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাক্ষর করা সীমান্ত চুক্তিতে এই ছিটমহলগুলো যে দেশে রয়েছে সেই দেশের অঙ্গীভূত করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু আজও তা রূপায়ণ হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।