কলকাতা: রোববারের শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ জনে। শুধু ভারতেই মৃতের সংখ্যা ৩০ এ পৌঁছেছে।
এর মধ্যে সিকিমে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। বাকি ১০ জন পশ্চিমবঙ্গের ও ২ জন বিহারের। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক।
ভারতের পাশাপাশি নেপালে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯। তিব্বতে নিহত হয়েছেন ৭ জন।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দার্জিলিং পাহাড়ে বিভিন্ন অংশে ব্যাপক ধস নেমে সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে।
যোগাযোগ বিছিন্ন হওয়ার কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ না জানা গেলেও শিলিগুড়িতে বিনোদ আগরওয়ালা, ডুর্য়াসের চাবাগানে রাজিন নাসিয়া, কালিম্পং-এ পুস্প আগারওয়ালা, দলবাহাদুর ছেত্রী, কার্শিয়াং-এ প্রফুল্ল বিশ্বকর্মা ও মালবাজারে একটি শিশু নিহত হয়েছেন।
এছাড়া শিলিগুড়িতে আহত হয়েছেন ৪৬ জন। শহরের বহু বাড়িতে ফাটল ধরেছে।
জলাপাইগুড়ি শহরে কেন্দ্রীয় কারাগারে দেওয়াল ভেঙে যাওয়ায় ১ হাজার ১ শ’ কয়েদি বাইরে চলে এসেছিলেন, পুলিশ তাদের গণনা করে আবার কারাগারে ফেরত পাঠিয়েছে।
প্রবল বৃষ্টি ও অন্ধকার নেমে যাওয়া কারণে উদ্ধার কার্য পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি বলে সোমবার সকাল থেকে উদ্ধারকার্যে বিমানবাহিনীর ৩টি বিমানকে ব্যবহার করা হচ্ছে উত্তরবঙ্গে।
এদিন সেনাবাহিনীর পাশাপাশি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের সদস্যরা উদ্ধারকার্য চালাচ্ছেন। শিল্পমন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি সরোজমিনে উদ্ধারকার্য দেখতে রাতের ট্রেনে কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে এসেছেন।
তবে সোমবার সকাল থেকেই সিকিমের গ্যাংটক ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় তুমুল বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় উদ্ধারকার্যে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটছে।
গ্যাংটকে বিদ্যুৎ ও টেলিফোন পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছে উদ্ধারকার্য শুরু করেছেন।
উল্লেখ্য,রোববার সন্ধা ৬টা ১০ নাগাদ উত্তর ও উত্তর-পূর্ব ভারত ভূ-কম্পে কেঁপে ওঠে। এর উৎসস্থল নেপাল-সিকিম সীমান্ত। এই কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল ভূ-পৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার নিচে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬ দশমিক ৮।
এদিনের ভূকম্পে ব্যাপক প্রভাব পড়ে সিকিম ও উত্তরবঙ্গে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১১