ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

কলকাতার সেরা পূজার থিম

রক্তিম দাশ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১১
কলকাতার সেরা পূজার থিম

কলকাতা: কলকাতা নগরীতে এবার ঠিক কতগুলো দুর্গা পূজা হচ্ছে তা ঠিক বলা যাবে না। গত কয়েক বছর ধরে সাবেকি মণ্ডপ আর প্রতিমার পাশাপাশি ব্যাপক ভাবে শুরু হয়েছে থিমের পূজা।



আর এই থিমকে ঘিরে কলকাতার পূজা এখন শিল্পে পরিণত হয়েছে। বহুজাতিক সংস্থা গুলির থিমকে ঘিরে সম্মাননা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পূজা উদ্যোক্তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতার লড়াই শুরু হয়েছে।

বাংলানিউজের ধারাবাহিক প্রতিবেদনে কলকাতার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য থিমের পূজা তুলে ধরা হল।

নাকতলা উদয়ন সংঘ
এই পুজোর বয়স ২৫ বছর। এবারের থিম ‘পিতলে আর মেহগনি/রূপ নিল মা আগমনী’। পিতল আর মেহগনি কাঠ দিয়ে  তৈরি হয়েছে প্রতিমা। কলকাতার পূজার ইতিহাসে এই ধরনের প্রতিমা প্রথম। মণ্ডপ সজ্জা একটি উড়ন্ত পাখি। মণ্ডপের সাজসজ্জায় পিতল ও মেহগনি কাঠের কাজ ব্যবহার করা হয়েছে। এটি বানিয়েছেন ভাস্কর ভবতোষ ছুতার। এদের বাজেট ৩০ লাখ রুপি।

পূর্বাচল শক্তি সংঘ
এই পুজার বয়স মাত্র ৩ বছর। এবারের থিম ‘স্বপন হারিয়ে গেছে স্বপ্ন নয়’। মানুষ হারিয়ে গেলেও বেঁচে থাকে তার স্বপ্ন। ছোট থেকেই আমরা নানা  রকমের স্বপ্ন দেখি। পারিপার্শ্বিক চাপে সেই স্বপ্ন  হারিয়ে যায়। সেই স্বপ্নে আভাস পাওয়া যাবে এদের মণ্ডপে। কাঠ, বাঁশ, প্লাই, ককশিট আর কাপড়ের কাজ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এটি বানিয়েছেন সোমনাথ মুখার্জি। এদের বাজেট ১১ লাখ রুপি।

এফডি ব্লক সার্বজনীন
কলকাতার পূজার ইতিহাসে এটি সর্ব বৃহৎ প্রতিমা। মাটি থেকে ৫৩ ফুট উচ্চতার ফাইবারের এই বিশাল প্রতিমাটি বানিয়েছেন মিন্টু পাল।

বেলগাছিয়া সার্বজনিন
টালা পার্কের এই পুজোটির মণ্ডপ তৈরি হয়েছে ৩০ হাজার গাছের চারা দিয়ে। ৬ মাস ধরে চারা গাছ রোপন করে এই অভিনব মন্ডপটি বানিয়েছে সোমনাথ মুখার্জি।

টালা বারোয়ারি
৯১ বছরের পুজা। ‘এসো এবার মুখ দেখে যাও/ মুখ ঢাকে কি বিজ্ঞাপনে’ এটাই এবারের থিম তাদের। বিজ্ঞাপন ছাড়া আজকের দুর্গা পুজা ভাবা যায় না। নানা ধরনের বিজ্ঞাপন দিয়ে করা হয়েছে মণ্ডপসজ্জা করছেন অমর সরকার। বাজেট ১৫ লাখ রুপি।

রাজডাঙ্গা নব উদয় সংঘ
২৬ বছরের পুজা। এবারে থিম ‘আমি কে’। মণ্ডপটি  তৈরি হয়েছে নানা ধরনের আয়না দিয়ে। দর্শকরা প্রবেশ করেই কিছুটা হতচকিত হয়ে যাচ্ছেন। গ্রামীণ মেলায় যে আয়না ঘর দেখতে পাওয়া যায়। সেই আয়না ঘরের আমেজ এবারের মণ্ডপে করেছেন পুর্ণেন্দু দে। বাজেট ১২ লাখ রুপি।

চেতলা অগ্রণী
১৯ বছরের পুজা। মন্দির মসজিদের সম্মিলিত একটি মণ্ডপ। এখানে যেমন শোনা যাচ্ছে আজানের ধ্বনি, তেমনই অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে কাঁসার ঘন্টার আওয়াজ। এটির পরিকল্পনা  রণো ব্যানার্জি। বাজেট ২২ লাখ রুপি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।