ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

কলকাতার সেরা পুজার থিম: ২

রক্তিম দাশ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১১
কলকাতার সেরা পুজার থিম: ২

কলকাতা: কলকাতা মহানগরীতে ঠিক কতগুলো মণ্ডপে দুর্গাপুজা হচ্ছে এবার তা ঠিক গুণে বলা যাবে না। গত কয়েক বছর ধরে সাবেকি মণ্ডপ আর প্রতিমার পাশাপাশি ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে থিমের পুজা।

আর এই থিমকে ঘিরে কলকাতার পুজা এখন শিল্পে পরিণত হয়েছে। বহুজাতিক সংস্থাগুলোর থিম ঘিরে সম্মাননা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুজা উদ্যোক্তাদের মধ্যে শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতার লড়াই।

বাংলানিউজের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের ২য় পর্বে তুলে ধরা হলো কলকাতার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য থিমের পুজা।

সেলিমপুর ক্লাব
৬১ বছরের পুজা। এবারের থিম ‘সতীর দেহত্যাগ’। হিন্দু পুরাণ মতে, দেহত্যাগের পর আবার মহাদেবকে বর হিসাবে পাওয়ার জন্য গিরিরাজ হিমালয়ের পরিবারে জন্ম নেন দেবী দুর্গা। মহাদেবকে বর রূপে পাওয়ার জন্য হিমালয় পর্বতের এক কোণে কঠোর তপস্যা করেন তিনি। সেই তপস্যার আবহ তুলে ধরা হয়েছে মণ্ডপে। প্যাগোডা ধাঁচের কাঠের মন্দিরে পুজিত হবেন দুর্গা। পাহাড়ের শীতল পরিবেশের আমেজ আনতে এয়ার কুলারের ব্যবহার করা হয়েছে। এই থিমটি করেছেন দীলিপ নস্কর। বাজেট ১০ লাখ রুপি।

ত্রিধারা সম্মেলনী
৬৫ বছরের পুজা। এবারের থিম ভারতের রাজস্থান রাজ্য। মূল মণ্ডপটি তৈরি হয়েছে রাজস্থানী প্যালেসের অনুকরণে। ম-পের সাথে থাকছে রাজস্থানের সংস্কৃতির নানা নমুনা। পুজার কয়েকদিন মণ্ডপে রাজস্থানের শিল্পীরা পরিবেশন করবেন এই রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য। এটি তৈরি করেছেন দীপক সরকার। বাজেট ২০ লাখ রুপি।

বেহালা নতুন দল
‘ভুবনডাঙ্গার সিংহবাড়ি’ এবারে এদের থিম। কাল্পনিক গ্রাম ভুবনডাঙ্গা। সেই গ্রামের জমিদার সিংহদের বাড়ি এবং সেখানকার প্রাচীন দুর্গা পুজা উঠে এসেছে এই ক্লাবের মণ্ডপে। প্লাস্টার অব প্যারিস, বাঁশ এবং কাঠ দিয়ে তৈরি হয়েছে জমিদার বাড়ি এবং ঠাকুর দালান। এই থিমটির রূপকার রণো ব্যানার্জি। বাজেট ২২ লাখ রুপি।

শিবমন্দির
৭৫ বছরের পুজো। এবারের থিম ‘উৎসব’। বাংলার নানা উৎসবের রেশ পাওয়া যাবে এই মণ্ডপের ভিতরে। মণ্ডপটি তৈরি হয়েছে বাঁশ, কাঠ ও অন্যান্য সাধারণ জিনিস দিয়ে। থিমটি করেছেন অরুণ পাল। প্রতিমা বানিয়েছেন সুব্রত ব্যানার্জি। বাজেট ২২ লাখ রুপি।

বোসপুকুর তালবাগান
এবারের থিম ‘কাজটা যখন প- হলো/বলছ সবাই মাটি/এবার সেই মাটি দিয়েই সাজিয়ে দিলাম/মায়ের বসতবাটি। ’ কলকাতার কুমোরটুলি আর সেখানকার মৃৎশিল্পীদের ছাড়া দুর্গাপুজাই ভাবাই যায় না। সেই কুমোরটুলিকেই মণ্ডপে তুলে ধরা হয়েছে। সরা, ধুনচি, ঘটসহ মাটির তৈরি নানা উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে ম-প সজ্জায়। এটির শিল্পী প্রশান্ত পাল। বাজেট ২০ লাখ রুপি।

দমদমপার্ক তরুণ সংঘ
২৬ বছরের পুজো। বাঁশি, করতাল এই ধরণের বাংলার প্রাচীন বাদ্যযন্ত্র দিয়ে তৈরি হয়েছে সুবিশাল মণ্ডপ। কোনো বিশেষ স্থাপনার অনুকরণে নয়, কাল্পনিক মন্দিরের অনুকরণে মণ্ডপ। আলোকসজ্জাতেও থাকছে এই বাদ্যযন্ত্রগুলি। এটি তৈরি করেছেন বন্দন রাহা। বাজেট ১৬ লাখ রুপি।

কেন্দুয়া শান্তি সংঘ
৬৩ বছরের পুজো। এবারের থিম ‘ভাঙা ঘরে চাঁদের আলো’। বন্যায় ভাসা একটি গ্রামের দুর্গা পুজো ওঠে এসেছে এদের থিমে। মণ্ডপের মাঝখানে প্রায় ২ হাজার বর্গফুট জুড়ে একটি জলাশয়। এর মধ্যেই একটি নৌকায় পুজিত হবেন মা দুর্গা। জলাশয়ের পাশে নানা ধরণের মডেলের সাহায্যে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গ্রাম বাংলার প্রতিচ্ছবি। এটি তৈরি করেছেন প্রদীপ পাল। বাজেট ১০ লাখ রুপি।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।