কলকাতা: যৌথবাহিনীর সাথে সংর্ঘষে নিহত মাওবাদী নেতা কিষেণজির মা কলকাতা হাইকোর্টে তদন্তের আবেদন করতে চলেছেন বলে জানা গেছে।
অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে একটি সুত্র জানিয়েছে, নিহত মাওবাদী নেতার মা বর্তমানে ক্যানসারে আক্রান্ত।
এদিকে, বুড়িশোলের জঙ্গলে ভুয়ো সংঘর্ষে কিষেণজিকে মারা হয়েছে বলে মানবাধিকার কমিশন এপিডিয়ার দাবি করেছে। একই দাবি মাওবাদীদের প্রতি সহানুভূতিশীল বুদ্ধিজীবীদের।
কিষেণজি যিনি একাধিক সহকর্মীদের দ্বারা সুরক্ষিত থাকেন তাদের কেউ সঙ্গে ছিল না, এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তেমনি কিষেণজির থুতনিতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দূর থেকে গুলির আঘাত লাগলে তা কপালে লাগার কথা বলে, মানবাধিকার কর্মীরা দাবি করছেন।
কিষেণজির দাদার মেয়ে দীপা ভারভারা রাও-এর সঙ্গে আসছেন অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে। পরিবারের পক্ষ থেকে তারা দেহ সনাক্ত করবে। এরপরে কিষেণজির নিজের গ্রামে অন্তষ্টি সম্পন্ন হবে বলে জানান হয়েছে। মাল্লোজোলা কোটেশ্বর রাও-এর দেহ ঝাড়গ্রামের হাসপাতালে রাখা হয়েছে। সেখানেই তার ময়না তদন্ত হবে।
গতকাল কিষেণজির মৃতদেহের পাশে একটি কালো ব্যাগ পাওয়া যায়। তাতে প্রচুর ওষুধ, ৮৪ হাজার রুপি, ২টি মোবাইল, ৬টি মোবাইলের সিমকার্ড, ১০০টি চিঠি (তারই হাতে লেখা) পাওয়া গেছে বলে সি আর পি এফ সূত্র থেকে জানান হয়েছে।
এদিকে, মাওবাদীদের গুরুত্বপূর্ণ নেতা কিষেণজীর মৃত্যুর পর প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় রাজ্যের সব জায়গায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পুলিশ এখনও বুড়িশোলের জঙ্গল ঘিরে তল্লাশি চালাচ্ছে অন্যান্য মাওবাদীদের খোঁজে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘন্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১১