ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পিকদানি হয়ে গেছে হাওড়া ব্রিজ

ডেস্ক রিপোর্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১১
পিকদানি হয়ে গেছে হাওড়া ব্রিজ

ঢাকা: পান খেকো বাঙালিদের পিক ফেলার ব্যাপারে হুঁশ-জ্ঞান বোধহয় একটু কমই। রাস্তা ঘাট আর অফিস আদালতে পানের পিক ফেলার জায়গা আর ধরন দেখলে এ কথা মনে হওয়াই স্বাভাবিক।

পান খেকো মানুষরা পানের রঙে নিজেদের ঠোঁট, জিহ্বা আর দাঁত যেভাবে রঙিন করে ফেলেন, ঠিক একইভাবে তারা রঙিন করে তোলেন সিঁড়ির গোড়া, পিলারের গোড়া, দেয়াল কিংবা রাস্তার পাশের গাছের গোড়া।

যারা সৌখিন পান খেকো, তাদের সবার বাড়িতেই পিকদানি আছে। কিন্তু রাস্তায় বেরিয়ে পান খেকোরা কোথায় পিক ফেলবেন এ নিয়ে চিন্তা ভাবনা না করেই পিচিক করে ছুঁড়ে দেন যেখানে সেখানে। অনেক ক্ষেত্রে অনেকের সফেদ জামা চিরদিনের জন্য রঙিন হয়ে যায় তাদের ছুঁড়ে দেওয়া পিকে।  

এ কারণেই কলকাতার হাওড়া ব্রিজ হয়ে উঠেছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পিকাদানি। কারণ এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন অন্ততঃ পাঁচ লাখ মানুষ পায়ে হেঁটে যাতায়াত করে। আর তাদের মধ্যে কম করে হলেও ৫০ হাজার থাকেন পান খেকো। তারা পান খেয়ে ওই ব্রিজের হ্যাঙ্গারের গোড়ায় গোড়ায় এত পরিমান পিক ফেলেন যে ওই পিকের বিক্রিয়ায় হাওড়া ব্রিজের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।

কলকাতা ঐহিত্য আর প্রতীক এই স্টিল ব্রিজ পিকের হাত থেকে বাঁচাতে প্রকৌশলীরা এগিয়ে এসেছেন। তারা ব্রিজের হ্যাঙ্গারগুলো ফাইবার গ্লাস দিয়ে ঢেকে দেওয়া পরিকল্পনা করেছেন। কারণ ব্রিজের গায়ে পানের পিক ফেলতে নিষেধ করা হলেও পান খেকো মানুষ তা মানে না।

ব্রিজ কর্তৃপক্ষ বলছে, গত তিন বছরে ব্রিজের হ্যাঙ্গারের ভিত্তির আয়তন অর্ধেক হয়ে গেছে।    

ব্রিজটি নির্মাণ হয়েছিল ১৯৩৭ সালে। ২৬ হাজার টন স্টিল দিয়ে নির্মিত এই ব্রিজে হ্যাঙ্গার আছে ৭৮টি। প্রতিদিন এই ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করেন পাঁচ লাখ মানুষ। এছাড়া যাতায়াত করে পাঁচ লাখ গাড়ি।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।